বিআরটিএ কর্মকর্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেড় কোটি টাকা

প্রকাশকালঃ ২৯ মে ২০২৩ ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ ৬৮ বার পঠিত
বিআরটিএ কর্মকর্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেড় কোটি টাকা

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী মোটরযান পরিদর্শক আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের তদন্তদলকে কক্সবাজারের একটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ২ কোটি টাকার বেশি জমা দানের বৈধ কোনো উৎস জানাতে পারেননি আরিফুল। এর মধ্যে তদন্ত চলাকালীন ওই অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৫০ লাখ টাকার বেশি। যার কারণে ওই অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় দেড় কোটি টাকা অবরুদ্ধকরণের আদেশ প্রদান করেছেন আদালত।

দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. নাছরুল্লাহ হোসাইনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৫ মে বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এই আদেশ দেন।

আরিফুল ইসলাম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে বর্তমানে নোয়াখালী জেলায় কর্মরত রয়েছেন। কক্সবাজার সদরের এসএমপাড়ার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বিআরটিএ-এর কক্সবাজারে সাবেক সহকারী মোটরযান পরিদর্শক থাকাকালীন এই টাকা লেনদেন করেন বলে আবেদনে উল্লেখ রয়েছে।


আবেদনে দুদক কর্মকর্তা মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন বলেছেন, আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।

অনুসন্ধানকালে আরিফুল ইসলামের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স ঘাসফুল ট্রেডার্স’-এর নামে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, কক্সবাজার শাখার চলতি একটি হিসাবে (অ্যাকাউন্ট) ২ কোটি ২ লাখ ৬৬ হাজার ৯৬৪ টাকা জমার সত্যতা পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানকালে তিনি উক্ত লেনদেন সম্পর্কে কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারেননি এবং এই টাকার কোনো বৈধ উৎস প্রদর্শন করতে পারেনি। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ লাখের বেশি টাকা সরিয়ে নেওয়া হলেও বর্তমানে ওখানে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৪৮ হাজার ৬০৭ টাকা জমা রয়েছে। এই সংক্রান্তে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের গোয়েন্দা প্রতিবেদন পর্যালোচনায় হিসাবটিতে আরিফুল ইসলামের ঘুষের অর্থ লেনদেন করে অপরাধ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সম্পৃক্ত অপরাধের পর্যায়ভুক্ত মর্মে মতামত প্রদান করা হয়েছে।


এদিকে আদালতের আদেশের একটি কপি প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। যেখানে আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক অ্যাকাউন্টটি অবরুদ্ধ করা হয়েছে বলে আদেশ প্রদান করে এ সংক্রান্ত আদেশ অবিলম্বে কার্যকর সংশ্লিষ্ট শাখার ব্যাংক ব্যবস্থাপককে নির্দেশ প্রদান করা হয়। যার অনুলিপি ব্যাংকও পাঠানো হয়েছে। এমন আদেশ হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন। তিনি জানান, অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে।

এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসব বিষয়ে রবিবার রাতে আরিফুল ইসলামের মোবাইলে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ মিলেনি। এ কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।