বাংলাদেশি তিন হাফেজ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায়

প্রকাশকালঃ ২১ মে ২০২৩ ০১:২৪ অপরাহ্ণ ৮৮ বার পঠিত
বাংলাদেশি তিন হাফেজ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায়

ন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি হাফেজদের সাফল্য ঈর্ষণীয়। তাঁরা প্রায় তিন দশক ধরে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের নাম উজ্জ্বল করে আসছেন। সে ধারাবাহিকতায় যুক্ত হয়েছে বিশেষ তিনটি নাম। তাঁরা হলেন হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম, হাফেজ তানভির হোসাইন ও হাফেজ আবু রাহাত।

মর্যাদাকর আন্তর্জাতিক পুরস্কার বিজয়ের মাধ্যমে তাঁরা দেশ ও দেশের মানুষকে সম্মানিত করেছেন। নিম্নে তাঁদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলা ধরা হলো।


বাংলাদেশের গৌরব হাফেজ তাকরীম

হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় এখন পরিচিত মুখ। বাংলাদেশের এই খুদে হাফেজ এরই মধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একাধিক পুরস্কার লাভ করেছেন।

হাফেজ তাকরীম ২০২২ সালে আয়োজিত ২৬তম জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান, ইরানে আয়োজিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম, লিবিয়ায় সপ্তম, ৪২তম কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। তিনি ২০২৩ সালে ২৬তম দুবাই আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।হাফেজ তাকরীমের জন্ম সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার উমরপুর গ্রামে। তবে তাঁর পরিবার এখন টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বসবাস করছে।


 
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তানভীরের সাফল্যের গল্প

আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি তিন হাফেজআন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি তিন হাফেজচোখে দৃষ্টির আলো নেই, তবে অন্তরে আছে কোরআনের জ্যোতি। সে জ্যোতি বুকে ধারণ করে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় হাজির হয়েছিলেন হাফেজ তানভীর হোসাইন। গত ফেব্রুয়ারিতে মিসরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। হাফেজ তানভীর তাজবিদসহ পূর্ণাঙ্গ কোরআন হিফজ বিভাগে অংশগ্রহণ করেন। এই বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে দুই লাখ মিসরীয় পাউন্ড পুরস্কার লাভ করেন ঘানার আবদুল সামাদ আদম এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে দেড় লাখ মিসরীয় পাউন্ড লাভ করেন মালদ্বীপের ফাতেমা শায়া জাহির।

তৃতীয় স্থান অর্জন করে এক লাখ মিসরীয় পাউন্ড লাভ করেন বাংলাদেশের তানভীর হোসাইন।

চার দিনব্যাপী কোরআন প্রতিযোগিতায় ৫৮টি দেশের ১০৮ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। হাফেজ তানভীর হোসাইনের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া গ্রামে। এর আগে ২০১২ সালে তিনি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। ২০১৬ সালে ইরানের ৩৩তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান লাভ করেন।
 

শিশু হাফেজ আবু রাহাতের সাফল্য

আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি তিন হাফেজআন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি তিন হাফেজশিশু হাফেজে কোরআন আবু রাহাতের সাফল্যের গল্প শুরু হয় ২০২০ সালে। এ বছর তিনি পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ২০২২ সালে কুয়েতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণে ১১তম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় তিনি অনূর্ধ্ব-১৫ বছর বয়সীদের পূর্ণ কোরআন হিফজ বিভাগে অংশগ্রহণ করেন। এই বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন কেনিয়ার আবদুর রহমান মুসা আবদুল্লাহ এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন ঘানার আবদুস সামাদ আদম। হাফেজ আবু রাহাতের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার পইজুরি গ্রামে।