সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৪ জুলাই ২০২৫ ১২:৫৫ অপরাহ্ণ   |   ৩০ বার পঠিত
সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-


 

সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে কক্সবাজারসহ উপকূলীয় অঞ্চলে রোববার সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ সোমবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে এবং মঙ্গলবার থেকে তা দেশের অন্যান্য এলাকায় বিস্তৃত হয়ে সারাদেশেই থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
 

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, বর্তমানে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি সাগরে যে সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলীয় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং দেশের নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
 

তিনি আরও জানান, গতকাল (রোববার) পঞ্চগড়, রংপুর ও নীলফামারী জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। একইসঙ্গে টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের অন্যান্য অংশেও মৃদু তাপপ্রবাহ ছিল। আজ সোমবার থেকে তাপপ্রবাহের পরিমাণ কমবে এবং মঙ্গলবার থেকে দেশের কোথাও তাপপ্রবাহ না-ও থাকতে পারে। লঘুচাপের প্রভাবেই বৃষ্টিপাতের এই সম্ভাবনা।
 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে ওইসব এলাকায় দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
 

আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, আজ সোমবার থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবার বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এই বৃষ্টি সপ্তাহজুড়েই অব্যাহত থাকবে, তবে তা থেমে থেমে হবে। কোথাও কোথাও দমকা হাওয়ার পাশাপাশি ভারী বর্ষণের আশঙ্কাও রয়েছে।
 

ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৮ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর ফলে এসব এলাকায় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে।
 

এদিকে ৮ জুলাই ফেনীতে রেকর্ড ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়, যা চলতি বছরের মধ্যে ওই অঞ্চলের সর্বোচ্চ। ভারী বৃষ্টির কারণে ফেনীতে বন্যা দেখা দেয় এবং নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিপাত কমে আসায় ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।