বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (কুড়িকৃবি) উদযাপন করেছে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ বছর কৃষি ও মৎস্য অনুষদে ৮০ জন নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। নবীনবরণ ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়ায় দিনটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কাছে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
সকালে নতুন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। সকাল ৯টায় রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। নবীন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রসপেক্টাস, আইডি কার্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত খাতা-কলম।
জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। তিনি ফুল দিয়ে নবীনদের বরণ করে নেন এবং বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ প্রদক্ষিণ করে।
র্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান এবং গীতা পাঠ করেন দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী হৃদি দাস। কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আলীম বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা নিয়ে নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করেন। এতে একাডেমিক সাফল্য, গবেষণা কার্যক্রম, শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা ও ফিল্ড ট্রিপ, ‘Smart Aquarium’ প্রকল্প, শেকৃবি ও এফএও’র সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির অগ্রগতি এবং নতুন একাডেমিক ভবনের কম্পিউটার ল্যাব ও লাইব্রেরির তথ্য তুলে ধরা হয়।
নবীন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে হিয়া প্রামানিক ও শফিউল ইসলাম তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। অন্যদিকে প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী নৌরিশ নবীনদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম তার বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে পড়াশোনা করার পাশাপাশি বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতা ও নৈতিক মূল্যবোধ অর্জনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “শুধু পাঠ্যপুস্তক জ্ঞান নয়, বাস্তবজীবনের প্রস্তুতিও নিতে হবে। তবেই শিক্ষার্থীরা যোগ্য ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে।”
আলোচনা সভা শেষে মিশবাতুল জান্নাত মাহীর আবৃত্তি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইরা আক্তার ও আব্দুল্লাহ আল বাকী।