পবিত্র কাবাঘরের চারপাশে ঐতিহাসিক স্থাপনা

পবিত্র কাবাঘরের চারপাশে বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

মসজিদে হারাম

মসজিদে হারম হলো বিশ্বের বৃহত্তম মসজিদ। এটি কাবাঘরের চারপাশে অবস্থিত। মসজিদে হারমের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে মসজিদে হারমকে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। মসজিদে হারমের ভিতরে রয়েছে কাবাঘর, সাফা-মারওয়া পাহাড়, হাজরে আসওয়াদ, হাজরে আসওয়াদের কাছাকাছি অবস্থিত মাকামে ইবরাহিম, এবং জমজম কূপ।

হাজরে আসওয়াদ: হাজরে আসওয়াদ হলো কাবাঘরের পূর্ব দেয়ালে অবস্থিত একটি কালো পাথর। এটিকে মুসলমানরা অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করে। হাজরে আসওয়াদকে ইসলামের প্রথম ইমাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

মাকামে ইবরাহিম

মাকামে ইবরাহিম হলো কাবাঘরের পূর্ব দেয়ালে অবস্থিত একটি পাথরের বেদী। এটিকে ইবরাহিম (আ.)-এর পদচিহ্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

জমজম কূপ: জমজম কূপ হলো কাবাঘরের কাছে অবস্থিত একটি কূপ। এটিকে আল্লাহর রহমতের কূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জমজম কূপের পানি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু।

সাফা-মারওয়া পাহাড়

সাফা এবং মারওয়া হলো মক্কার কাছে অবস্থিত দুটি পাহাড়। এ দুটি পাহাড়ের মধ্য দিয়ে হাঁটাকে ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাফা-মারওয়া পাহাড়ের মধ্য দিয়ে হাঁটার নাম হলো সাঈ।

এছাড়াও, কাবাঘরের চারপাশে আরও বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

মসজিদে কবা: মসজিদে কবা হলো কাবাঘরের পূর্ব দিকে অবস্থিত একটি ছোট মসজিদ। এটিকে কাবাঘরের প্রথম মসজিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

মসজিদে হারামেইন

মসজিদে হারামেইন হলো মসজিদে হারম এবং মসজিদে নাবাবিকে একত্রিত করে তৈরি একটি মসজিদ। এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম মসজিদ কমপ্লেক্স হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

মসজিদে নবাবী

মসজিদে নবাবী হলো মক্কার কাছে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটিকে মুহাম্মদ (সা.)-এর মসজিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

পবিত্র কাবাঘরের চারপাশের এই ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলি ইসলামের ইতিহাস এবং সংস্কৃতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।