১৩ বছর পর সিরডাপের গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি হলো বাংলাদেশ

প্রকাশকালঃ ০৬ জুন ২০২৪ ০৫:২৮ অপরাহ্ণ ১০৩ বার পঠিত
১৩ বছর পর সিরডাপের গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি হলো বাংলাদেশ

১৩ বছর পর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিআইআরডিএপি বা সিরডাপ) গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ।


বৃহস্পতিবার (৬ জুন) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত সিরডাপের গভর্নিং কাউন্সিলের ২৪তম সভায় সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সমর্থনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়। 

 

৪ থেকে ৬ জুন ব্যাংককে সিরডাপের গভর্নিং কাউন্সিলের তিন দিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলো কেন্দ্রের কার্যক্ষমতা সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়।

 

সমাপনী দিনে বাংলাদেশকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত আগামী দুই বছরের জন্য গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় সভাপতিত্ব করেন সিরডাপের নবনির্বাচিত সভাপতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

 

সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে একটি মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সিরডাপের যাত্রা শুরু হয়েছিল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এটি সমন্বিত পল্লী উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং নীতি নির্ধারণে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসেছে। আমরা সিরডাপের ম্যান্ডেট এবং সাংগঠনিক দর্শনের ওপর জোর দিতে চাই, যাতে করে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা পালন করতে পারে।


তিনি সিরডাপের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের জানতে হবে কেন এই অঞ্চলের লাখ লাখ গ্রামীণ দরিদ্রের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সিরডাপ ব্যর্থ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে নেতৃত্বদানকারী জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার সংস্থার (এফএও) সমর্থন এবং সহযোগিতার ওপর জোর দিতে হবে। সংগঠনটিকে আরও ফলপ্রসূ এবং যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে।

 

বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণ, দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাথমিক শিক্ষা, টিকাদান এবং সংক্রামক রোগ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। যেহেতু গ্রামীণ উন্নয়ন আমাদের দেশের একটি অগ্রাধিকার অ্যাজেন্ডা সেহেতু আমরা চাই, সিরডাপভুক্ত সদস্য রাষ্ট্র এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংস্থার সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে।

 

উল্লেখ্য, গভর্নিং কাউন্সিলের সভার আগে গত ৪ ও ৫ জুন সিরডাপের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসা. শাহানারা খাতুন বাংলাদেশের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও সিরডাপের সদস্যরাষ্ট্র ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিজি, ইরানের প্রতিনিধিরা এ গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় উপস্থিত ছিলেন।