প্রকাশকালঃ
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৩৩ অপরাহ্ণ ২২৩ বার পঠিত
মানসিক চাপ শুধু মনের ওপরই প্রভাব ফেলে না। শরীরের বিভিন্ন অংশকেও প্রভাবিত করে। মানসিক চাপের ফলে মানসিক অস্থিরতা, অবসাদ, মেজাজ খিটখিটের পাশাপাশি পেশির দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথা যন্ত্রণা কিংবা অনিদ্রার মতো শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং স্ট্রোক-সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
পাকস্থলি ও অন্ত্র
মানসিক চাপের ফলে মানুষের ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়। মানসিক চাপের কারণে হজমে সমস্যা তৈরি হয় ফলে ডায়রিয়া, পেট খারাপের মতো সমস্যা শুরু হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপের ফলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম, একজিমা, হাঁপানি এবং সোরিয়াসিস রোগগুলো বাড়তে পারে।
পেশি
মাথা ব্যথাকে মানুষ পেশির রোগ হিসেবে মনে করে না। অথচ মাথার ত্বকের উপর দিয়ে যাওয়া পেশির টান অনুভব করলে এই টানকেই মাথাব্যথা বলে। মানসিক চাপের বৃদ্ধি ঘাড়ের সার্ভিকাল পেশীতে ফ্যাসিকুলেশন এবং টান নামক পেশীর খিঁচুনি সৃষ্টি করতে পারে, যা মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
দাঁত ও মুখ
মানসিক চাপ আপনার মুখ ও দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। অতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে অনেকের ঘুমের মধ্যে দাঁতের পাটি ঘষার প্রবণতা দেখা যায়। এই রোগটিকে ব্রুকসিজম বলে। যেহেতু এটি ঘুমের ঘোরে ঘটে তাই অনেকে হয়ত জানেই না তাদের এই রোগ আছে। ব্রুকসিজমের ফলে মাথাব্যথা, কানে ব্যথা, চোয়াল শক্ত হওয়া এবং চোয়াল বা মুখে ব্যথা, দাঁত ভাঙা এবং মুখ ফুলে যেতে পারে।
প্রদাহজনক
মানসিক চাপের ফলে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ তৈরি হয়। পেশি ও হাড়ে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়। মানসিক চাপের ফলে দ্রুত বার্ধক্য আসে। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায় এবং কোষ, পেশি ও হাড়ের ক্ষতি করে।