গর্ভাবস্থায় নারীদের স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। এই সময়ে নারীদের শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে। এই পরিস্থিতিতে ছোট-বড় প্রতিটি বিষয়েই খেয়াল রাখতে হবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা গর্ভাবস্থায় খাবারের বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন। অনেক কিছুই খাওয়া নিষেধ করা হয়। এর মধ্যে আঙুরও রয়েছে। অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর আঙুর খাওয়া গর্ভাবস্থায় অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
অনেক স্বাস্থ্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে গর্ভাবস্থায় আঙুর খাওয়া ভ্রুণের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি মহিলাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এই ধরনের ভুল পরিহার করা উচিত। আসলে, আঙুরে পাওয়া যায় Resveratrol, যার পরিমাণ কালো এবং লাল আঙুরে বেশি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
তবে প্রাণীদের উপর পরিচালিত কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে উচ্চ মাত্রার Resveratrol প্রজননের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা গর্ভাবস্থায় আঙুর না খাওয়ার পরামর্শ দেন। অন্যান্য ফলের তুলনায় আঙুরে বেশি কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, যা গর্ভাবস্থায় মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এই কারণে, গর্ভাবস্থায় আঙুর একেবারে না খাওয়ার বা অল্প পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রাকৃতিক সুগার অর্থাৎ ফ্রুক্টোজ আঙুরে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত চিনি গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি মা এবং শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে ম্যাক্রোসোমিয়াও হতে পারে অর্থাৎ জন্মের সময় শিশুর অতিরিক্ত ওজন।
আঙুরে ক্যালোরি বেশি থাকে। এই পরিস্থিতিতে গর্ভাবস্থায় এটি খেলে ওজন বাড়তে পারে। যার কারণে প্রসবের সময় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই গর্ভাবস্থায় আঙুর খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।