রাবি ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি নেই

প্রকাশকালঃ ২০ মার্চ ২০২৪ ১১:১০ পূর্বাহ্ণ ২৩৫ বার পঠিত
রাবি ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি নেই

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি নেই। একটি শক্তিশালী বিশেষজ্ঞ টিম কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ফলাফল যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষার্থীর আবেদন অনুযায়ী ৪ ইউনিটের ৫ জনের উত্তরপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। সেখানে প্রকাশিত ফলাফলের কোন অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি। 


সোমবার (১৮ মার্চ) সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ডীনস্ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ভর্তি পরীক্ষার 'এ' ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এস এম এক্রাম উল্ল্যাহ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত রেজাল্ট শতভাগ অথেনটিক। 


আমি ৫ টা আবেদন ৪ টা শিফ্ট থেকে গ্রহণ করেছিলাম। তাদের সবাই সম্পূর্ণ কনফিডেন্ট ছিল তারা নাম্বার আরও বেশি পাবে। গ্রুপ ১-এর তৌফিক আহমেদ শিপন নামে আইডিয়াল কলেজের এক শিক্ষার্থী ফল পূনর্মূল্যায়ন করে দেখা গেছে। সে ৫৪ টা সটিক উত্তর করেছে। ২৪ টা উত্তর ভুল করেছে। তার নোট নাম্বার ৬১.৫০। যা প্রকাশিত ফলের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। 


গ্রুপ ২-এ সাদ্দাম হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী ১২-১৫ নম্বর কম পাওয়ার অভিযোগ তুলে ফল পূনর্মূল্যায়নের দাবি করে। তার সটিক উত্তর ৪৬ টি। ভুল উত্তরের জন্য মাইনাস মার্ক শেষে সে পেয়েছে ৪৯ নম্বর। সীমান্ত দাস নামে গ্রুপ ৩-এর আরেক শিক্ষার্থী (রোল১৫০১১৫) নাম্বার কম পাওয়ার অভিযোগ করে। তার খাতা পূর্ণমূল্যায়ন করে দেখা গেছে সে ১৬ টি প্রশ্নের  উত্তর করেনি। তার খাতায় প্রকাশিত ফলের সাথে কোন প্রকার অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি। 


গ্রুপ-৪ এ ফল পূনর্মূল্যায়নের দাবিতে নেত্রকোনা থেকে আসা এক শিক্ষার্থী (রোল: ১৬৩৮৯৭) পেয়েছে  ৫১.২৫। এটিও প্রকাশিত ফলের সাথে কোন অসঙ্গতি নেই। গ্রুপ ২ এর সেট ৩-এ ৪ টা প্রশ্ন ভুল হওয়া সম্পর্কে তিনি জানান, এই প্রশ্নগুলো মূল্যায়নের বাইরে রাখা হয়েছে এবং প্রতিটি প্রশ্নে সবাইকে ১.২৫ দিয়ে গুণ করে ৫ মার্ক যোগ করে দেওয়া হয়েছে। 


জ‌বির প্র‌তিটা বিভা‌গে আজকেই বসবে যৌন নিপীড়ন অ‌ভি‌যোগ বক্স, চা‌বি থাক‌বে উপাচার্যের কা‌ছেজ‌বির প্র‌তিটা বিভা‌গে আজকেই বসবে যৌন নিপীড়ন অ‌ভি‌যোগ বক্স, চা‌বি থাক‌বে উপাচার্যের কা‌ছে তিনি বলেন, অনেক শিক্ষার্থীরা বাবা-মা কে সন্তুষ্ট করার জন্য নাম্বার বেশি পাওয়ার আবদার করে থাকে। সেখান থেকেই একটি কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ছড়ায়। 


এ সময় ভর্তি পরীক্ষার খাতা মূলয়ায়ন কমিটির বিশেষজ্ঞ কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মো. মুর্শেদুল আরেফিন উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এখানে মার্ক কম বেশি করার সুযোগ নেই। সফটওয়্যার দিয়ে উত্তরপত্র ক্রস ম্যাচ করা হয়। সব ইউনিটেই ৮০র বেশি মার্ক আছে৷ সুতরাং প্রকাশিত ফলাফল নির্ভুল ও সঠিক। 


এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, আইন অনুষদের ডীন অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ ও ইনস্টিটিউট অফ ইংলিশ অ্যান্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজেজ-এর পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন।