ইংলিশ অলরাউন্ডার ব্রাইডন কার্সকে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার আগে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্রিকেট খেলায় মোট ৩০৩টি বাজি ধরার অপরাধে ৩ মাসের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
এই নিষেধাজ্ঞার সাথে ১৩ মাসের স্থগিতাদেশ নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। কার্স শুধুমাত্র নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করলেই আগামী ১৩ মাসের মধ্যে খেলতে পারবেন।
কার্স কীভাবে ধরা পড়েছেন?
ক্রিকেটের নিয়মনীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিষয়াদি পর্যবেক্ষণের জন্য ইসিবির নতুন স্বাধীন সংস্থা ক্রিকেট রেগুলেটর কার্সের বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে।
তদন্তের পর কার্সের দোষ খুঁজে পায় সংস্থাটি। কার্স নিজেও তার দোষ স্বীকার করে নেন।
কার্স কী বলেছেন?
কার্স বলেছেন, "বাজিগুলো কয়েক বছর আগে ধরলেও এটিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাই না। আমি আমার কার্যকলাপের সব দায় গ্রহণ করছি।"
তিনি আরও বলেছেন, "আগামী ১২ সপ্তাহ আমি কঠোর পরিশ্রম করব এবং এটা নিশ্চিত করছি, আপনারা আমাকে যে সমর্থন দিচ্ছেন, তা আবারও খেলতে নেমে শোধ করব।"
কার্সের উপর এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব
ইংল্যান্ডের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৪ ওয়ানডে এবং ৩ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কার্স। দুই সংস্করণ মিলিয়ে নিয়েছেন ১৯ উইকেট।
সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা গেছে তাকে।
সম্প্রতি জিমি অ্যান্ডারসন অবসরের ঘোষণা দেয়ায় কার্সকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আনতে চেয়েছিল ইসিবি।
তবে এই ঘটনার পর কার্সের জাতীয় দলে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে গেল।
উল্লেখ্য:
ক্রিকেটের দুর্নীতিবিরোধী একটি ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, পেশাদার কোনো খেলোয়াড়, কোচ, কোচিং স্টাফের সদস্য এবং খেলাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ বিশ্বের কোথাও বাজি ধরতে পারবেন না।