সরকারের নির্বাহী আদেশে আজ নিষিদ্ধ হচ্ছে জামায়াত-শিবির

প্রকাশকালঃ ৩১ জুলাই ২০২৪ ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ ৫৬১ বার পঠিত
সরকারের নির্বাহী আদেশে আজ নিষিদ্ধ হচ্ছে জামায়াত-শিবির

সরকারের নির্বাহী আদেশে আজ নিষিদ্ধ হচ্ছে জামায়াত-শিবির। বুধবারের (৩১ জুলাই) মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তার দাবি, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ হলে দেশের পরিস্থিতি শান্ত হবে।

 

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) কোন প্রক্রিয়ায় জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করা হবে, তা নির্ধারণে সচিবালয়ে বৈঠক করেন কয়েকজন মন্ত্রী। তারও আগে সোমবার (২৯ জুলাই) কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসাতর ঘটনার জেরে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের সভায় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়।

 

বছর দশেক আগে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতের বিচারের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। দলকে শাস্তি দেয়ার বিধান নেই এমন কথা উল্লেখ করে ১০ বছরেও সেই বিচার আর শুরুই করেনি সরকার। এ নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠলেও সংশ্লিষ্টরা সে প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেছেন। অন্যদিকে, জামায়াতকে নিষিদ্ধ চেয়ে করা আরেকটি মামলা আপিল বিভাগে বিচারাধীন। সেটি নিষ্পত্তিতেও আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


সবশেষ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, যখন কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয়, তখন সেটি নির্বাহী আদেশেই হয়। এটি বিচার বিভাগীয় আদেশে হয় না। সুতরাং, নির্বাহী আদেশেই নিষিদ্ধ হবে জামায়াতে ইসলামী।

 

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী বুধবারের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে কোন আইনি প্রক্রিয়ায় হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার পর জানানো হবে। তবে জামায়াতের বিচার নিয়ে সক্রিয় ব্যক্তিদের অন্যতম শাহরিয়ার কবীরের অভিযোগ, আইনমন্ত্রীর কারণে দল হিসেবে জামায়াতের বিচার আটকে গেছে। এই মুক্তিযুদ্ধ গবেষক বলেন, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ যখন আইনমন্ত্রী ছিলেন তখন জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছিল। কিন্তু এরপর আনিসুল হক আইনমন্ত্রী হওয়ার পর এই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।


তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে আমরা জামায়াতের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। সে সময় তিনি বলেছিলেন, আইনের একটি ক্ষুদ্র সংশোধনী দরকার, যার মাধ্যমে সংগঠনের বিচার করলে তার শাস্তি কি হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। কারণ, সংগঠনকে তো আর ফাঁসি বা যাবজ্জীবন দেয়া সম্ভব নয়। ওই সময় আমরা আইনে বিস্তারিত না চেয়ে বিচারকদের বিচার -বুদ্ধির ওপর আস্থা রাখার কথা বলেছিলাম।