আজ এরদোগান-ব্লিঙ্কেন গাজা ইস্যুতে বৈঠক করেছে

প্রকাশকালঃ ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:৪৭ অপরাহ্ণ ১৮৪ বার পঠিত
আজ  এরদোগান-ব্লিঙ্কেন গাজা ইস্যুতে বৈঠক  করেছে

মধ্যপ্রাচ্য সফরে থাকা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেন শনিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরদোগানের সঙ্গে গাজায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। এরপর তিনি আজই গ্রিসের উদ্দেশে রওনা হবেন।

মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে শুক্রবার রাতে ইস্তাম্বুলে পৌঁছান ব্লিঙ্কেন। ইসরাইল, পশ্চিম তীরসহ কয়েকটি আরব দেশ সফর করার কথা আছে তার।

তিন মাস আগে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরুর পর এটি মধ্যপ্রাচ্যে ব্লিঙ্কেনের চতুর্থ সংকটকালীন সফর। গাজায় চলমান যুদ্ধ আঞ্চলিকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে এ সফর শুরু করেছেন তিনি।

৭ অক্টোবর হামাস সদস্যেরা ইসরাইলে হামলা চালানোর আগপর্যন্ত ইস্তাম্বুল হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ইসরাইল সরকারের হিসাব অনুসারে, ৭ অক্টোবরের ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ১৪০ জন নিহত হয়েছেন। জবাবে গাজায় একই দিন থেকে হামলা শুরু করে ইসরাইল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, চলমান এ হামলায় ২২ হাজার ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলার ঘটনাটি উদযাপন করার ভিডিও প্রকাশের পর কয়েকজন হামাস নেতাকে তুরস্ক ছাড়তে বলেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

গাজায় চলমান ইসরাইল হামলায় বিপুল প্রাণহানি নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান কঠোর সমালোচনা করে আসছেন। ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়েও সমালোচনা করেছেন তিনি।

এরদোগান ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ‘নিধনযজ্ঞ’ চালানো হচ্ছে।

তুরস্ক হয়ে হামাসকে তহবিল সরবরাহ করা হচ্ছে বলে বারবারই অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তহবিল জোগানো এবং সমর্থন দেওয়া বন্ধ করতে তুরস্ককে আবারও চাপ দিয়েছেন ব্লিঙ্কেন।

গতকাল হামাসের সন্দেহভাজন পাঁচ বিদেশি পৃষ্ঠপোষকের সন্ধান চেয়ে এক কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। ওই পাঁচজনের মধ্যে তিনজন তুরস্কে থাকেন এবং ইরান–সমর্থিত এ গোষ্ঠীকে আর্থিক সহযোগিতা দেন বলে ধারণা করা হয়।

ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা এবং ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চলতি সপ্তাহে তুরস্ক ৩৪ জনকে আটক করেছে।

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর গত মাসে প্রথমবারের মতো এরদোগানকে ফোন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তখন থেকে এরদোগান তার সুর কিছুটা নরম করেছেন। ওই ফোনালাপের পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে সুইডেনকে অন্তর্ভুক্ত করতে রাজি হয় তুরস্ক।

ডিসেম্বরের শেষের দিকে সুইডেনের সংসদীয় কমিটি আবেদন অনুমোদন করেছে।
আজ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্লিঙ্কেন গ্রিক দ্বীপ ক্রিট সফরে যাবেন। 

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিসের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা আছে। তুরস্কের কাছে মার্কিন যুদ্ধবিমান বিক্রিতে গ্রিসের উদ্বেগের বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে।