ঢাকা প্রেস নিউজ
সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতেই ভ্রমণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি আরও জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিনকে স্থানীয় জনগণের কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হবে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বন অধিদপ্তরে ‘বিশ্ব মেঁছো বিড়াল দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পর্যটনের নামে সেন্টমার্টিনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করা হচ্ছে। কক্সবাজারের টেকনাফের প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনকে স্থানীয় জনগণ কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাঁচানোর প্রয়াসকে ভিত্তিহীনভাবে ভিন্ন পথে পরিচালিত করার সুযোগ নেই। সেন্টমার্টিন দ্বীপকে বাঁচাতে সরকার নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি, বরং এটি বহু পুরনো সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন।
এর আগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মাসের জন্য সেন্টমার্টিনে পর্যটক ভ্রমণ বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে দ্বীপের পর্যটন খাতে প্রভাব পড়েছে এবং পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলও বন্ধ রয়েছে। সেন্টমার্টিনে যাতায়াত বন্ধ থাকায় জেটিঘাটে সুনশান নীরবতা বিরাজ করছে এবং জাহাজের কর্মচারীরা বেকার সময় পার করছেন। ফলে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বিপাকের মধ্যে রয়েছেন।
এদিকে, জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ফেব্রুয়ারি মাসে জাহাজ চলাচল করবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসী আশা প্রকাশ করছেন, ফেব্রুয়ারি মাসেও যেন পর্যটকদের জন্য দ্বীপটি উন্মুক্ত থাকে।