পরিকল্পিতভাবেই জেলেনস্কির সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান ট্রাম্প – সাবেক মার্কিন গোয়েন্দার দাবি

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০২ মার্চ ২০২৫ ০২:৩২ অপরাহ্ণ   |   ১০৭ বার পঠিত
পরিকল্পিতভাবেই জেলেনস্কির সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান ট্রাম্প – সাবেক মার্কিন গোয়েন্দার দাবি

অনলাইন ডেস্ক:-

 

হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাগ্‌বিতণ্ডা নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। বিরল এই ঘটনাকে ঘিরে নানা বিশ্লেষণ উঠে আসছে। তবে এটি পরিকল্পিত ছিল বলে দাবি করেছেন সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা স্কট রিটার।
 

শনিবার (১ মার্চ) রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “জেলেনস্কিকে সম্মানহানি করে ক্ষমতাচ্যুত করার কৌশলের অংশ হিসেবেই হোয়াইট হাউসের বৈঠকে ট্রাম্প ইচ্ছাকৃতভাবে বিতর্কে জড়ান।”

 

রিটারের মতে, বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে তর্ক করে জেলেনস্কি নিজের অবস্থান দুর্বল করে ফেলেছেন। তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ায় এবার প্রেসিডেন্ট পদ হারাতে যাচ্ছেন জেলেনস্কি।”
 

এরই মধ্যে এক মার্কিন সিনেটর জেলেনস্কির পদত্যাগের দাবি তুলেছেন। তবে জেলেনস্কি পাল্টা জবাবে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র ইউক্রেনের জনগণ চাইলে তবেই তিনি পদ ছাড়বেন।
 

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে জেলেনস্কি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার মেয়াদ গত বছরের মে মাসে শেষ হলেও যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সামরিক আইনের অধীনে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।

 

রিটারের মতে, ওয়াশিংটন এখন জেলেনস্কির ওপর বিরক্ত। তিনি বলেন, “ওভাল অফিসে বৈঠকের কয়েকদিন আগেই ট্রাম্প জেলেনস্কিকে স্বৈরশাসক হিসেবে আখ্যা দেন। বৈঠকটি ছিল মূলত তাকে অসম্মানিত করার একটি পূর্বপরিকল্পিত প্রচেষ্টা।”
 

তিনি আরও দাবি করেন, “জেলেনস্কির অপসারণের পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই চলছিল। ওভাল অফিসের ঘটনাটি ছিল তার রাজনৈতিক পতনের সূচনা।”

 

ওভাল অফিসের বৈঠকের পর ট্রাম্প ও জেলেনস্কির সম্পর্ক প্রায় ভেঙে পড়েছে। তবে ট্রাম্পের আচরণে বোঝা যাচ্ছে, তিনি যেকোনো মূল্যে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চান। নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রয়োজনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত খারিজ করতেও পিছপা হবেন না।

 

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কমলেও ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। দ্য গার্ডিয়ান জানায়, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রতি তাদের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
 

এদিকে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাত উন্নয়নে যুক্তরাজ্য ২২৬ বিলিয়ন পাউন্ড ঋণ দেওয়ার চুক্তি করেছে। এছাড়া, ইউরোপীয় নেতারা কিয়েভে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি নিশ্চিত করতে লন্ডনে এক সম্মেলনে মিলিত হওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।