যমুনা ও তিস্তার নদী ভাঙনে বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশকালঃ ২০ জুলাই ২০২৩ ০৩:৩৬ অপরাহ্ণ ১৬১ বার পঠিত
যমুনা ও তিস্তার নদী ভাঙনে বিপর্যস্ত জনজীবন

মতে শুরু করেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপত্সীমার ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু পানি কমলেও দেখা দিয়েছে প্রবল ভাঙন। যমুনার চরাঞ্চলে অবস্থিত চরগিরিশ ইউনিয়নের সিন্দুর আটা বয়রা ভায়া জামালপুর উপজেলার সরিষাবাড়ী পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার পাকা রাস্তাটির ২০০ মিটার যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে।

হুমকির মুখে পড়েছে রাস্তার পাশের ৩৩ হাজার কেভির বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। গত সোমবার থেকে এই রাস্তায় ভাঙন দেখা দেয়। মঙ্গলবার থেকে স্থানীয়ভাবে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন বালুভর্তি বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। এদিকে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন তিস্তার ভাঙনে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে।

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরগিরিশ ইউনিয়নে যোগাযোগের প্রধান সড়কটিতে ভাঙন দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে বহু মানুষ। গত মঙ্গলবার দুপুরে কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী ও ইউএনও সুখময় সরকার ভাঙনকবলিত ওই স্থান ঘুরে দেখেন।


এদিকে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে টইটম্বুর উত্তরের প্রাণরেখা তিস্তা নদী। গেল কয়েক দিন ধরে উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিপত্সীমার ওপরে ওঠানামা করছে।

এখন পানি কিছুটা কমলেও বিপদ কাটেনি। তিস্তাবেষ্টিত রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন ঘুরে ভাঙনে ক্ষতবিক্ষত গ্রামের চিত্র চোখে পড়েছে। লক্ষ্মীটারী শংকরদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীগর্ভ থেকে ৫০ ফুট দূরে রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ভাঙনের আশঙ্কায় বিদ্যালয়ের মালপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী জায়গায় পাঠদান করছেন শিক্ষকরা।


বিদ্যালয়ের আশপাশের পরিবারগুলোও নদীভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে। বিদ্যালয়ে ২৫০ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থী থাকলেও নদীভাঙনের কারণে পরিবারগুলো অন্যত্র চলে যাওয়ায় বর্তমানে ৭০ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়টিতে লেখাপড়া করছে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল জলিল বলেন, ‘অস্থায়ীভাবে ঘর তুলে আমরা ছয়জন শিক্ষক শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়া ভাঙনের কারণে অনেক পরিবার অন্যত্র চলে যাওয়ায় স্কুলে শিক্ষার্থীও কমে গেছে।’

গঙ্গাচড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাগমা শিলভিয়া খান বলেন, ‘নদীভাঙনের কারণে শংকরদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনসহ মালপত্র নিরাপদ স্থানে নেওয়া হচ্ছে।’ পাউবো বলেছে, পলি অপসারণ, ড্রেজিং, রিজার্ভার নির্মাণ ও সংস্কারে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।