পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বাগদাদের সুইডিশ দূতাবাসে বিক্ষোভ

প্রকাশকালঃ ২০ জুলাই ২০২৩ ১২:২৫ অপরাহ্ণ ১৭২ বার পঠিত
পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বাগদাদের সুইডিশ দূতাবাসে বিক্ষোভ

বিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বাগদাদের সুইডিশ দূতাবাসে বিক্ষোভ ও হামলা চালিয়েছে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ভোরে এ হামলা চালানো হয়। এপি

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া ধর্মগুরু মুক্তাদা সদরের সমর্থকরা দূতাবাসের সামনে নিজেদের পতাকা উত্তোলন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করছে। কয়েক ডজন লোক দেয়ালের ওপর দিয়ে উঠে ভবনের সামনের দরজা ভাঙার চেষ্টা করছে।


অন্য আরেক ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ছোট আগুন লাগানো হচ্ছে। আরেক ফুটেজে দেখা গেছে, গ্রীষ্মের গরমে শার্ট খুলে কিছু লোক দূতাবাসের একটি কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করছেন।

পরে তারা দূতাবাসের বাইরে ফজরের নামাজ আদায় করেন। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা দূতাবাসে জড়ো হন। দমকলকর্মীরা একটি সিঁড়ি থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিছু বিক্ষোভকারী তখনও ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ছিল।

সুইডিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আমাদের দূতাবাসের কর্মীরা নিরাপদে আছেন। তারা বলছে, 'আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থার কূটনীতিক এবং কর্মীদের ওপর সব হামলারই নিন্দা জানাই। দূতাবাস ও কূটনীতিকদের ওপর হামলা ভিয়েনা কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘন। কূটনৈতিক মিশন ও কূটনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষার দায়িত্ব ইরাকি কর্তৃপক্ষের।'


এদিকে ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও হামলার নিন্দা জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ইরাকি সরকার ঘটনার পরিস্থিতি উদঘাটন ও এর সঙ্গে যুক্তদের চিহ্নিত করতে এবং আইন অনুযায়ী জবাবদিহিকরার জন্য জরুরি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুন ঈদের দিনে সুইডেনের স্টকহোম শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় মুসলিম দেশগুলো সুইডেনের ওপর ব্যাপকভাবে ফুঁসে ওঠে। শেষমেশ বাধ্য হয়ে স্বয়ং সুইডেন সরকার কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করে। দেশটি বিষয়টিকে ইসলামবিদ্বেষ বা মুসলিম-বিরোধী কার্যকলাপ হিসেবে উল্লেখ করে। তবে দেশটির বিরুদ্ধে কিছু দেশে  এখনও বিক্ষোভ চলছে।