পাকিস্তানে বেসরকারিকরণ: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

প্রকাশকালঃ ১৫ মে ২০২৪ ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ ১০৪ বার পঠিত
পাকিস্তানে বেসরকারিকরণ: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

পাকিস্তান সরকার বর্তমানে বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বিমান সংস্থা, বিদ্যুৎ কোম্পানি, তেল ও গ্যাস প্রতিষ্ঠান, এবং আরও অনেক কিছু।এই বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো দেশের অর্থনৈতিক ঘাটতি কমানো। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়শই লোকসান করে এবং সরকারের উপর ভরসা করে। বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বেশি দক্ষ এবং লাভজনক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

 

আরেকটি কারণ হলো দেশের অবকাঠামো উন্নত করা। বেসরকারি কোম্পানিগুলো বিনিয়োগের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সক্ষম। এর ফলে রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা উন্নত হতে পারে।

 

তবে, বেসরকারিকরণের কিছু সমালোচনাও রয়েছে। অনেকে শঙ্কা করেন যে এতে গরিব মানুষের জন্য পরিষেবাগুলির দাম বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কর্মীদের চাকরি হারাতে হতে পারে। এছাড়াও, বেসরকারি কোম্পানিগুলোর মুনাফার চেয়ে জনস্বার্থকে কম গুরুত্ব দেওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

 

মূলত সরকারি অর্থ সাশ্রয়ের জন্যেই এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ‘আগামী ৫ বছরের মধ্যে কৌশলগত নয়— এমন সব প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেবে সরকার। করদাতা জনগণের অর্থ সাশ্রয়ের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ ডলারের মজুত তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় প্রায় দুই বছর ধরে যে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে দেশটি, সেই সংকট সরকারের ‘হুঁশ’ ফিরিয়েছে বলে মনে করেন অনেক অর্থনীতি বিশ্লেষক। ডলারের মজুত ন্যূনতম স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে বিস্তর চেষ্টা-তদবির শেষে গত বছর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ নেয় পাকিস্তান। সেই সঙ্গে আইএমএফের বিভিন্ন পরামর্শও মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেয় সরকার।

 

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসূত্রে আরও জানা গেছে, শিগগিরই বেসরকারি খাতে স্থানান্তর করা হবে— এমন সব সরকারি কোম্পানির একটি প্রাথমিক তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে ইতোমধ্যে । তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে পিআইএ, চারটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি (এই চারটির মধ্যে দু’টির বার্ষিক বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের বেশি), ১০টি বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি, নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে অবস্থিত বিলাসবহুল রুজভেল্ট হোটেল এবং দু’টি বিমা কোম্পানিসহ ২৫টি প্রতিষ্ঠান।

সূত্র : রয়টার্স