নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে বিএনপির হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। একইসঙ্গে হামলার বিচার না হলে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন এবং প্রয়োজনে কমিশনের পদত্যাগ দাবি করবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে দলটি।
রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির নেতারা এ দাবি জানান।
এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন,
“ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার নেতৃত্ব ও নির্দেশেই আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাঁকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করতে হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) পুরো কমিশনের পদত্যাগ দাবি করব।”
দলটির উত্তরাঞ্চল মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন,
“বিএনপির আওয়ামী লীগবিষয়ক সম্পাদক হচ্ছেন রুমিন ফারহানা। যেভাবে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের ভারতে পাঠিয়েছি, সেভাবেই যদি রুমিন ফারহানারা সন্ত্রাসের রাজনীতি চালান, তাদেরও ভারতে পাঠানো হবে।”
তিনি আরও দাবি করেন,
“রুমিন ফারহানা অতীতে আওয়ামী লীগের সব ধরনের সুবিধা নিয়েছেন। অথচ তিনি আজ বিএনপির হয়ে সুবিধাবাদী রাজনীতি করছেন। বিগত ১৫ বছর তিনি ভালো ছিলেন বললেও বাস্তবে তিনি আওয়ামী লীগের বিশেষ সুবিধাভোগী ছিলেন।”
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন,
“আজকের নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতার বদলে কিছু রাজনৈতিক দলের অফিসে পরিণত হয়েছে। আমরা দেখেছি পুলিশ বিএনপিকে সুযোগ করে দিয়েছে, আর আমাদের নেতাকর্মীদের বাধা দিয়েছে। ডান কিংবা বাম নয়, বাংলাদেশপন্থি একটি নির্বাচন কমিশন চাই আমরা। এজন্য বর্তমান কমিশনকে অবশ্যই পুনর্গঠন করতে হবে।”