ঢাকা মহানগর নাট্যোৎসব বন্ধ বা স্থগিতের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। নাট্যোৎসব বন্ধ হওয়ার কারণ ডিএমপির বোধগম্য নয় বলে তারা জানিয়েছে।
আজ রোববার ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঢাকা মহানগর নাট্যোৎসব ২০২৫ স্থগিতের খবর এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিবৃতি ডিএমপির নজরে এসেছে। তবে উৎসব বন্ধ বা স্থগিত করার জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
ডিএমপি আরও জানিয়েছে, তারা সবসময় সৃজনশীল ও শৈল্পিক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করে। তবে কেন নাট্যোৎসব স্থগিত করা হয়েছে, সে বিষয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই। এ ছাড়া উৎসব ঘিরে সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ডিএমপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
‘শিল্পের আলোয় ভরে উঠুক মঞ্চের আঙিনা, দর্শকই স্বজন, দর্শকই প্রেরণা’—এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শনিবার ঢাকার মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নাট্যোৎসব শুরুর কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ মহিলা সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, রমনা থানা থেকে ফোনে উৎসব বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর নাট্য পর্ষদের আহ্বায়ক ঠান্ডু রায়হান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘ঢাকার ৮৫টি নাট্যদলের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এবং গণঅর্থায়নে নাট্যোৎসবের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আমাদের জানানো হয় যে উৎসব বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশ মহিলা সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রমনা থানা থেকে ফোনে এমন নির্দেশ এসেছে।’
সংগঠনটির বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ‘শুক্রবার রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তন থেকে উৎসবের সাজসজ্জা সরিয়ে নেয়। এরপরও আমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করি। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ও সবার নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় আমাদের প্রাণের নাট্যোৎসব আপাতত স্থগিত ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছি।’
তবে রমনা থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এ বিষয়ে কিছু জানে না। পরে ডিএমপি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।