বাংলাদেশেই অস্ত্র উৎপাদন — লক্ষ্য রপ্তানি

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০২ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৩৫ অপরাহ্ণ   |   ৪০ বার পঠিত
বাংলাদেশেই অস্ত্র উৎপাদন — লক্ষ্য রপ্তানি

প্রতিরক্ষাখাত আধুনিকীকরণ ও আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার একটি বিশেষায়িত ডিফেন্স ইকোনমিক জোন (সামরিক অর্থনৈতিক অঞ্চল) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। ঘোষনা অনুযায়ী নতুন জোনে ড্রোন, সাইবার প্রযুক্তি সংক্রান্ত ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেশেই উৎপাদন করা হবে; প্রথমে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ এবং পরে রপ্তানির মাধ্যমে সেক্টরটি রপ্তানিমুখী করা হবে।
 

সরকারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একটি স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা শিল্প গড়তে দীর্ঘমেয়াদে আনুমানিক ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) আয়োজিত সভায় এ বিষয়ের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়; সভায় উচ্চ পর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
 

সভার প্রস্তাবে তুরস্ক বা পাকিস্তানের মডেল অনুসরণ করে একটি স্থায়ী সমন্বয় কাঠামো গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়, যা প্রতিরক্ষা শিল্পের উন্নয়ন অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা শিল্প উন্নয়নের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা উপদেষ্টাকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো ব্যবস্থার তদারকির জন্য গঠিত আরেকটি সংস্হাই হলো ‘বাংলাদেশ জাতীয় প্রতিরক্ষা শিল্প-উন্নয়ন সমন্বয় পরিষদ’
 

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এমতবস্থায় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং প্রতিরক্ষা শিল্পকে রপ্তানিমুখী শিল্পে রূপান্তরিত করতে জোন স্থাপনের বিষয়ে কাজ চলছে। জোন কোথায় এবং কত জমিতে স্থাপন করা হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি; বর্তমানে পলিসি ও সাংগঠনিক কাঠামো নির্ধারণের কাজ চলছে এবং বিভিন্ন বন্ধুসুলভ দেশের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।
 

বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভারত, পাকিস্তান ও চীনসহ আঞ্চলিক অনেক দেশ প্রতিরক্ষা শিল্পে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে; বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৪ বছর বয়সে এ ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে আছে। তবু তারা বলছেন, উপযুক্ত পরিকল্পনা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় অন্তত পাকিস্তানের সমকক্ষ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনী ও শিল্পকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন—এ কারণেই এই উদ্যোগ গ্রহণের পক্ষে তারা মত দিয়েছেন।