ঢাকা প্রেস
আরিফুল ইসলাম জয়,ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:-
ফেসবুকে প্রেমের মাধ্যমে কুমিল্লার এক প্রবাসী ব্যক্তির স্ত্রী কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চলে আসেন। বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে গেলে প্রেমিকা জানতে পারেন যে, প্রেমিক একজন নবম শ্রেণির ছাত্র এবং শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে।
জানা যায়, স্থানীয় দুলাল হোসেন দলের প্রতিবন্ধী ছেলে হোসাইন আলী ধলডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। তার ফেসবুকে কুমিল্লার লাকশাম এলাকার এক প্রবাসী ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর প্রেমিকা গত ১ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে চলে আসেন। তবে সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন প্রেমিক প্রতিবন্ধী এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক।
প্রেমিকা বিয়েতে রাজি না হলেও প্রেমিক বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। একপর্যায়ে প্রেমিকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোন করলে, তিনি বিষয়টি ভূরুঙ্গামারী থানাকে জানিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করার নির্দেশ দেন। পুলিশ রাত ২টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
থানায় আনার পর পুলিশ বিপাকের মধ্যে পড়ে। মেয়েটির বাবা শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি মেয়েটিকে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেন। পরে পুলিশের কঠোর প্রচেষ্টায় মেয়ের অভিভাবককে রাজি করানো হয় এবং দুই দিন থানা হেফাজতে রাখার পর ৪ ডিসেম্বর মেয়েটিকে তার অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলাম জানান, প্রেমিক ছেলে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী এবং চোখে সমস্যা রয়েছে। মেয়েটি বিবাহিত এবং তার স্বামী বিদেশে থাকেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মুনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, উভয় পক্ষের সমঝোতায় মেয়েটিকে তার অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
