জাবিতে কাফনের কাপড় পরে অনশন চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে

প্রকাশকালঃ ৩১ জুলাই ২০২৩ ০১:২৩ অপরাহ্ণ ১৯৭ বার পঠিত
জাবিতে কাফনের কাপড় পরে অনশন চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে অনশন কর্মসূচি পালন করছে দৈনিক মজুরিরভিত্তিতে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীরা। সোমবার (৩১ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন অস্থায়ী কর্মচারীরা। 

তাদের এক দফা দাবি হচ্ছে- চাকরি স্থায়ীকরণ করা। হয় মৃত্যু, নয়তো চাকরি। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪২ জন অস্থায়ী কর্মচারী আছেন। যাদের দৈনিক ৪০০ টাকা হারে মজুরি দেওয়া হয়। যা বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী খুবই স্বল্প। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান তারা। 


শুধু তাই নয় তাদের নেই কোনো ছুটি। একদিন ছুটিতে গেলে ওইদিন আর কোনো টাকা পান না। একাধিক অস্থায়ী কর্মচারী কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনবার প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন এবং একই দাবিতে মানববন্ধন করা হলে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার অস্থায়ী কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থায়ীকরণের আশ্বাস দেন। 

সর্বশেষ চলতি বছরের ২ জানুয়ারি চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন তারা। তখন প্রশাসনের আশ্বাস ছিল- ৬ মাসের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন হল, বিভাগ ও অফিসসমূহে নিয়োগ দেওয়া হবে।  মৌখিক আশ্বাসের ভিত্তিতে অনশন স্থগিত করেন তারা। তবে আশ্বাসের ৬ মাস অতিবাহিত হলেও তার কোনো বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবারও আন্দোলনে বসেছেন তারা।

কর্মচারীরা আরো জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন হল এবং কিছু বিভাগে নতুন করে ৪১ জন কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে একজনও দৈনিক মুজুরি ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীদের মধ্যে থেকে নয়। এদিকে, প্রচণ্ড গরমের কারণে আন্দোলনরত কর্মচারীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও জানা যায়। ফুড পয়জনিং, শ্বাসকষ্ট এবং জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন আন্দোলনরত ১৭ জন অস্থায়ী কর্মচারী। 


প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে। তবুও আন্দোলনে অটল রয়েছেন তারা। শেখ হাসিনা হলের মালি শরিফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, হয় চাকরি, নয়তো মৃত্যু। এভাবে অমানবিক জীবনযাপন করতে পারছি না। চাকরি স্থায়ীকরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ এখান থেকে যাচ্ছি না।  

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গত সোমবার (১৭ জুলাই) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ১৩ দিন অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন তারা। কিন্তু প্রশাসন থেকে কোনো ধরনের আশ্বাস না পাওয়া গত রবিবার থেকে তারা অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।