বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়েই বদলে যান তাসকিন

প্রকাশকালঃ ২৪ মে ২০২৩ ০১:৫৮ অপরাহ্ণ ৬২ বার পঠিত
বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়েই বদলে যান তাসকিন

বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই সময়ের সেরা পেসারের নাম তাসকিন আহমেদ। অথচ কয়েক বছর আগেও পরিস্থিতিটা এমন ছিল না। বাজে পারফর্মেন্স আর ইনজুরির কারণে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। ক্যারিয়ার পড়েছিল হুমকির মুখে।

তারপরের গল্পটা প্রায় সবার জানা। অসম্ভব পরিশ্রম করে ফের জাতীয় দলে ফিরেন তাসকিন। হয়ে ওঠেন পেস আক্রমণের নেতা। তার এই বদলে যাওয়ার গল্পটার শুরু ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার পর।


২০১৫ সালে নিজের প্রথম বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৯ উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন। কিন্তু পরের বিশ্বকাপেই চোটের কারণে জায়গা হারান। ইংল্যান্ডে হওয়া ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলতে না পারার আক্ষেপে দীর্ঘদিন পুড়েছেন তাসকিন। ওই সময় তো মিডিয়ার সামনে চোখের জলও ফেলেছিলেন।

তারপর সেই দুঃখকে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন তাসকিন। শুরু করেন কঠোর অনুশীলন। সামনে আরও একটি বিশ্বকাপ। তাসকিন শোনালেন তার বদলে যাওয়ার কাহিনী।

আজ মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তাসকিন বলেন, 'ইনজুরির কারণে দলের বাইরে থাকার স্বাদটা কখনও আনন্দদায়ক নয়।


ক্রিকেটার হিসেবে খারাপ লাগে। ২০১৯ বিশ্বকাপে যখন বাদ পড়েছিলাম, ওই মুহূর্তটা খুব দুঃখজনক ছিল। তবে এখন বুঝতে পারি, আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। বিশ্বকাপের পর নিজের ওয়ার্ক এথিকস, প্রক্রিয়া কিছুটা বদলেছি। যা ক্রিকেটার হিসেবে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমার জন্য। এখন আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো প্রক্রিয়ায় আছি। একটা আত্মবিশ্বাস থাকে যে, আমি নিজের শতভাগ দিচ্ছি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে। তাই ভালো কিছু হবে আশা করছি।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রত্যেকটা ম্যাচের আগেই আসলে প্রস্তুতি নিতে হয়। নতুন দিন, নতুন ম্যাচ, নতুন প্রস্তুতি। আমরা তো উপমহাদেশেই খেলি। ভারতেরটা তুলনামূলক বেশি ভালো উইকেট হয়, ব্যাটিংয়ের জন্য। এক দিক দিয়ে ভালো, ওখানে ভালো করতে পারলে আত্মবিশ্বাস আরও জন্মাবে। আর হারানোর ভয়টা কম রেখে যদি এগোতে পারি, আমাদের জন্যই ভালো। এক-দুই দিন খারাপ দিন যেতে পারে যে কোনো বোলার বা ক্রিকেটারের। সেটা যাবেই। তবে আমার বিশ্বাস, আমরা আমাদের সেরা ছন্দের সর্বোচ্চটা বাস্তবায়ন করতে পারলে ওই কন্ডিশনেও ভালো করা সম্ভব। অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং, তবে আমরা ওই চ্যালেঞ্জটা নেব ইনশাআল্লাহ্‌।'