সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপালগঞ্জ সদরে এনসিপির জনসমাবেশ ঘিরে একদল উশৃঙ্খল জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য ও সাংবাদিক আহত হন। পাশাপাশি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সরকারি যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
পরিস্থিতির অবনতির পর সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি আংশিক নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর সমাবেশস্থলের মঞ্চে ফের হামলা হয় এবং জেলা কারাগারেও চালানো হয় ভাঙচুর। এমন সংকটময় মুহূর্তে সেনাবাহিনী মাইকিংয়ের মাধ্যমে হামলাকারীদের বারবার সতর্ক করার চেষ্টা করে। কিন্তু সাড়া না দিয়ে তারা সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে ককটেল ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী তখন বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পরবর্তীতে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযানে অংশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের নিরাপদে খুলনায় সরিয়ে নেওয়া হয়।
সেনাবাহিনী জানায়, বর্তমানে গোপালগঞ্জের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং কারফিউ বলবৎ রয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাবসহ প্রশাসনের অন্যান্য সংস্থাগুলো ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার সময় গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষ ধৈর্য ধারণ করে পরিস্থিতি শান্ত রাখায় সেনাবাহিনী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। পাশাপাশি গুজব ও অপপ্রচারে কান না দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য জনসাধারণকে আহ্বান জানানো হয়।
শেষে সেনাবাহিনী পুনরায় তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানায়, দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা রক্ষায় তারা সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।