ঢাকা প্রেস
অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (LDC) থেকে উত্তরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। মসৃণ উত্তরণ নিশ্চিত করার জন্য, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে 'স্মুথ ট্রানজিশন মিজারস' শীর্ষক একটি উচ্চ-পর্যায়ের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা নীতি ও কর্মপরিকল্পনার বাস্তবসম্মততা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করার উপর জোর দিয়েছেন।
LDC থেকে উত্তরণের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করার জন্য নীতি ও কর্মপরিকল্পনা কার্যকর ও বাস্তবসম্মত হতে হবে। সরকার, বেসরকারি সংস্থা, ব্যবসায়, এবং সমাজ সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মসৃণ উত্তরণ সম্ভব। LDC থেকে উত্তরণের পরে বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এমন সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলি চিহ্নিত করা এবং মোকাবেলা করার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করা গুরুত্বপূর্ণ। LDC থেকে উত্তরণ বাংলাদেশের জন্য বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজি: সরকার একটি 'স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজি' (STS) প্রণয়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে যা LDC থেকে উত্তরণের পরে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় এবং নতুন সুযোগগুলি কাজে লাগানোর জন্য একটি রূপরেখা প্রদান করবে।
সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা: STS প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
সচেতনতা বৃদ্ধি: LDC থেকে উত্তরণের গুরুত্ব এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের LDC থেকে উত্তরণ একটি মাইলফলক হবে। সঠিক নীতি, কর্মপরিকল্পনা এবং সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মসৃণ উত্তরণ নিশ্চিত করা সম্ভব এবং এটি দেশের জন্য একটি টেকসই ও ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ উন্মোচন করবে।