চাঁদপুর মডেল থানায় হামলা ও মারধর: শতাধিকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশকালঃ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৫০ অপরাহ্ণ ১০২৫ বার পঠিত
চাঁদপুর মডেল থানায় হামলা ও মারধর: শতাধিকের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা প্রেস
চাঁদপুর প্রতিনিধি:-


চাঁদপুরের আওয়ামী লীগ নেত্রী মাসুমা বেগমের মেয়ের উত্ত্যক্তের অভিযোগের জেরে, একটি বড়ো দল ছাত্ররা চাঁদপুর মডেল থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করেছে। এই ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৮০ থেকে ১০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
 

হামলা ও মারধরের শিকার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল সামাদ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই মামলা দায়ের করেন।
 

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শহরের কোড়ালিয়া রোডের হারুন ছৈয়ালের মেয়ে ফাতেমা আক্তার (২২), তার মা মাসুমা বেগম (৪২), একই এলাকার তাহসিন হোসেন (১৮), আল-আমিন (২৮), ট্রাক রোডের মো. রাকিব ভূঁইয়া (২৩), আরফিন আলিফ (২০), মো. সাফায়াত (২২), সৈয়দ সাকিবুল ইসলাম (২৩), রিফাত (১৯) ও মো. আরাফাত (১৯)।
 

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ের উত্ত্যক্তের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তের জন্য উপপরিদর্শক সামাদ এবং একজন ফোর্সকে কোড়ালিয়া রোডে পাঠানো হয়। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে থানায় ফিরে আসে।
 

পরের দিন, ৯ সেপ্টেম্বর ফাতেমা একদল উশৃঙ্খল ছাত্রকে নিয়ে থানায় আসে। তাদেরকে ওসি বুঝিয়ে বিদায় করেন।
 

তবে পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে, ফাতেমা এবং তার মা পুলিশের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ছাত্রদের উস্কে দেয়। এরপর ওই ছাত্ররা থানায় ঢুকে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। তারা এসআই সামাদকে তার কক্ষ থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে মারধর করে। এই ঘটনায় থানার ওসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
 

এই ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
 

চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত চলছে এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।