কুমিল্লা নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটরা কলোনির পশ্চিম গেটে এক সাধারণ পরিবারের হাতে এসেছে অবিশ্বাস্য এক বিদ্যুৎ বিল।
মাত্র দুটি ফ্যান, দুটি লাইট, একটি ফ্রিজ ও একটি টেলিভিশন ব্যবহারের পরও সেপ্টেম্বর মাসে তাদের হাতে এসেছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪ টাকার বিল।
পরিবারের গৃহবধূ তানজিদা আক্তার রিয়া জানান, প্রায় সাড়ে চার বছর আগে তারা ওই দুই কক্ষের বাসা ব্যবহার বন্ধ করে দেন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য কুমিল্লা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) শাসনগাছা অফিসে লিখিত আবেদনও করেছিলেন। এরপর থেকে নিয়মিত সামান্য ৪০-৪৩ টাকার বিল এলেও তাতে কোনো অসুবিধা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, পুনর্নির্মাণ শেষে নতুন করে বাসায় ওঠার পর কেবল কয়েকটি লাইট, দুটি ফ্যান, একটি ফ্রিজ ও একটি টেলিভিশন ব্যবহার করা হচ্ছে। আগস্ট মাসে তাদের বিল আসে মাত্র ১,৪০০ টাকা। কিন্তু গত ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ শাসনগাছা বিদ্যুৎ অফিস থেকে হাতে এসে পৌঁছায় এক লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪ টাকার 'ভুতুড়ে' বিল।
রিয়া বিস্মিত হয়ে বলেন, “এমন বিল আমরা জীবনে দেখিনি। সামান্য ব্যবহারে এত বিপুল অঙ্কের বিল সম্ভবই নয়।”
পরিবারের শ্বশুর মনজুর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “অফিসে গিয়ে বিষয়টি বোঝাতে চাইলে কর্মকর্তারা দায় এড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কেউই দায়িত্ব নিচ্ছেন না। অথচ আমাদের মতো সাধারণ মানুষ এই অস্বাভাবিক বিলের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছি।”
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, “যে মিটার থেকে এই বিল তৈরি হয়েছে, তার মালিক অফিসে এলেই তদন্ত শুরু হবে। আগের কোনো বকেয়া আছে কি না, বা কীভাবে এ বিল তৈরি হয়েছে—সব খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের মতে, সীমিত ব্যবহার সত্ত্বেও এত বিপুল অঙ্কের বিল আরোপে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।