সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা-দেশকে ফেলবে গভীর সংকটে: জামায়াত আমির

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৪ মে ২০২৫ ১২:৫৮ অপরাহ্ণ   |   ৮৭ বার পঠিত
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা-দেশকে ফেলবে গভীর সংকটে: জামায়াত আমির

ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-

 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীর গৌরবময় ভূমিকা রয়েছে। এ মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করার কোনো উদ্যোগই দেশের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
 

শনিবার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।
 

তিনি বলেন, "আমরা চাই না আমাদের গর্বের প্রতীক সেনাবাহিনী কোনোভাবেই বিতর্কিত হোক। তাই সকলকে এ বিষয়ে সংবেদনশীলতা দেখাতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য পরিহার করতে হবে।"
 

বর্তমান দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ‘বিশেষ ও সংকটপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, "এই অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সর্বদলীয় আলোচনার প্রয়োজন। সংঘাত ও কাদা ছোড়াছুড়ির মাধ্যমে জাতিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।"
 

তিনি বলেন, "জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আলোচনার টেবিলে বসে যেকোনো জটিল সমস্যারও সমাধান সম্ভব। এ লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বদলীয় সংলাপের আহ্বান জানিয়েছি।"
 

সংস্কার ও নির্বাচনী রোডম্যাপের বিষয়ে তিনি বলেন, "আমরা শুরু থেকেই একটি সুস্পষ্ট সংস্কার রূপরেখা এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়ে আসছি। কিন্তু এখনো তা জনসম্মুখে আসেনি। সরকারকে আহ্বান জানাই, দ্রুত এ বিষয়গুলো জনগণের সামনে উপস্থাপন করে আস্থা ফিরিয়ে আনুন।"
 

মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, "এই দুটি বিষয় অত্যন্ত সংবেদনশীল। মানবিক করিডর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে অথবা পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের ওপর বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া উত্তম হবে।"
 

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে তিনি বলেন, "দেশের প্রধান বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় ৭০ শতাংশ এই বন্দরকেন্দ্রিক। তাই এর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে, সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে অগ্রসর হওয়া উচিত।"
 

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "প্রধান উপদেষ্টা যে নির্বাচনকালীন সময়সীমা ঘোষণা করেছেন, আমরা শুরু থেকেই তা মেনে নিয়েছি এবং সহযোগিতা করে আসছি। একইসঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোকেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানাই।"
 

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।