বিশেষ প্রতিনিধি (নারায়ণগঞ্জ):-
নারায়ণগঞ্জের সোনারগা উপজেলার বাড়ি মজলিশ বোস্তানুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় পড়াশুনা করতো মোফাস্সেল।
২২ মে বৃহস্পতিবার মা, ভাইয়ের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে নানা রকম খাবার এবং ঈদের আগেই বাড়ি যাওয়ার বায়না করে মোফাস্সেল, শান্তনা দিয়ে মা আর ভাবি বলে অতি শিগগিরই তাকে আনা হবে ভাড়িতে। সেই মোফাস্সেলকে বাড়িতে আনা হলো ঠিকই তবে উড়ন চন্ডি হয়ে নয়, ফিরতে হলো লাশ হয়ে। ২৩ শে মে শুক্রবার গোসলের সময় নিজ গলায় ফাশ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মোফাস্সেল এমন অভিযোগ সেই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা নাজমুল হাছান সোহাগের।
তবে শুক্রবার দুপুরে ঘটনা ঘটলেও বাড়ির লোক খরব পায় জুম্মার নামাজের পর,দেরিতে খবর দেওয়ার জন্যই সন্দেহ সৃষ্টি হয় ওই মাদ্রাসার কতৃপক্ষের উপর। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমার ছেলে মারাই গেছে মেনে নিলাম তবে তারা কেনো আমাদের ফোন করলো না, তারা তাদের পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে আমাদের তাদের মাধ্যমে জানায়, অথচ তাদের কাছে আমাদের নাম্বার ছিলো। এছাড়া আমার ছেলের লাশ নিয়ে প্রথমে সেবা মেডিক্যাল এবং পরবর্তীতে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলো এতো সময় পেলো কিন্ত আমাদের খবর দেওয়ার সময় পেলো না তাহলে এটা কি বুঝায়? ভুক্তভোগী বর্ননা নিয়ে অনুসন্ধান টিম যখন সেই বুস্তলুন উলুম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মওলানা সোগাকে মুঠোফোনে কল করে পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চায়, সে প্রথমে মাদ্রাসায় আছেন বলে জানালেও পরবর্তীতে সাংবাদিক পরিচয় শুনে সে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে গেছে বলে যানায়।
স্ব শরীরে গনমাধ্যম কর্মীরা সেই মাদ্রাসায় উপস্থিত হলে, সেখানে মাওলানা সোহাগকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রশ্নের এক পর্যায়ে মাওলানা সোহাগের বোন একজন সংবাদ কর্মির সাথে কথাবলিয়ে দেয়। জানা যায় সে খবরের কাগজ পত্রিকার সোনারগাঁও প্রতিনিধি ইমরান। তারা জানায় সিসি টিভি ফুটেজ এবং সোনারগাঁও থানার ওসি সব জানেন। অবশেষে সোনারগাঁও থানার ওসির সাথে দেখা করে জানা গেলো, ছেলের বাবা মামলা দায়ের করেছে এবং ছেলে স্বইচ্ছায় ফাঁশি দিয়েছে। থানা থেকে বের হওয়ার পরই ভুক্তভোগীরা জানায় সব কিছু তাদের সাজানো,আমার বাবা ছোট ছেলেকে হারিয়ে উন্মাদ হয়ে গেছে, তাকে কাটা ছিরা যাতে না করে এর জন্যই আমার বাবা ভিক্ষুকের মতো লাশটি চেয়েছে। সেটারি ফায়দা নিয়ে তারা এগুলো বলতেছে। অপরদিকে ক্ষিপ্ত আরেক সাংবাদিক ইমরান, ফোন দিয়ে স্পটে থাকা সাংবাদিকদের কখনো বলছে অভিযুক্তদের কাছে চাঁদা চেয়েছে, কখনো বলছে আমি অভিযোগ করতে যাচ্ছি থানায়, কখনো বলছে ভুয়া সাংবাদিক। আবার কখনো বলছে আর একটু থাকলে পুলিশে ধরিয়ে দিতাম। একজন সাংবাদিকের কাজ অপর সাংবাদিককে সঠিক সংবাদ সংগ্রহ করায় সহযোগিতা করা। এ কেমন সহযোগিতা?তাহলে কি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করা হচ্ছে এদিকে সোনারগা থানার ওসি জানান,,এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক আইনি ব্যবসথা নেয়া হবে।