হৃদয় যা বলে, তা–ই করেন রাধিকা

প্রকাশকালঃ ২৩ মে ২০২৩ ১২:১৮ অপরাহ্ণ ১০৫ বার পঠিত
হৃদয় যা বলে, তা–ই করেন রাধিকা

সান্তা স্বাধীনচেতা, আত্মবিশ্বাসী এক তরুণী। একটু বেপরোয়াও বটে। পোস্টারে রিভলবার হাতে তার ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ লুক দেখে চরিত্রটির ধরন সম্পর্কে খানিকটা হলেও আন্দাজ করা যায়। অন্যদিকে অদিতি পুরো বিপরীত। নরম স্বভাব, অনেকটা ‘পাশের বাড়ির মেয়ে’ টাইপ। প্রথমটি ৫ মে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ডিজনি প্লাস হটস্টারে মুক্তি পাওয়া সিরিজ ‘সাস, বহু অওর ফ্লেমিঙ্গো’র চরিত্র, পরেরটি গত শুক্রবার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জিও জিনেমায় মুক্তি পাওয়া ওয়েবফিল্ম ‘কাচ্চি লিম্বু’র চরিত্র।

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মুক্তি পাওয়া এই সিরিজ ও সিনেমায় সান্তা ও অদিতি দুই চরিত্রেই অভিনয় করেছেন রাধিকা মদন। কেবল এই দুই কাজই নয়, ক্যারিয়ারজুড়েই এমন বৈচিত্র্যময় কাজ করেছেন তরুণ এই অভিনেত্রী। ‘কাচ্চি লিম্বু’ মুক্তি উপলক্ষে বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন রাধিকা।

২৮ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী জানান, ‘কাচ্চি লিম্বু’ যে সাস, ‘বহু অওর ফ্লেমিঙ্গো’ মুক্তির এত কাছাকাছি সময়ে মুক্তি পাবে, তা তিনি নিজেও জানতেন না। ফলে ছবিটির মুক্তি তাঁর জন্যও এসেছে বড় চমক হয়ে, ‘আমিও জানতাম না, এটা এত দ্রুত মুক্তি পাবে। তবে ভালোই হয়েছে, দর্শক দুই সপ্তাহে আমাকে দুই রকম চরিত্রে দেখতে পাবেন। একটি অন্যটির চেয়ে পুরোপুরি আলাদা। 


আমি নিজে অনেকটা অদিতির মতো, তবে সান্তা চরিত্রটিতে অভিনয়ের চ্যালেঞ্জও দারুণ উপভোগ করেছি।’

বিশাল ভরদ্বাজের হাত ধরে ‘পটাকা’ দিয়ে ২০১৮ সালে রাধিকা মদনের চলচ্চিত্রযাত্রার শুরু। অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হলেও খুব কম কাজ করেছেন। 


তাঁর সময়ে অন্য অনেক অভিনেত্রীর মতো একের পর এক বাণিজ্যিক বা রিমেক ছবি করেননি। বরং তাঁকে দেখা গেছে ‘আংরেজি মিডিয়াম’, ‘কুত্তে’, ‘রে’, ‘ফিলস লাইক ইশক’-এর মতো একটু ভিন্নধর্মী কাজে। তবে কি ‘বলিউডকন্যা’ হয়েও নাচ–গানে ভরপুর বাণিজ্যিক ছবিকে এড়িয়ে চলবেন রাধিকা? সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি, ‘আমি একটু ভিন্নভাবে জীবন যাপন করি, যে জন্য আমার সঙ্গে যায় না—এমন ধরনের কাজ করতে চাই না। আমি এমন একজন, যে বরাবরই হৃদয়ের কথামতো কাজ করে, মাথা কী বলছে, শোনে না। তাই কাজের সংখ্যা, ট্রেন্ডে থাকা এসব নিয়ে ভাবি না। যে কাজের প্রস্তাব আমার আত্মাকে স্পর্শ করতে পারে, সেটিতেই রাজি হয়ে যাই।’

‘কাচ্চি লিম্বু’তে দেখা যায়, ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চেয়েও ক্রিকেটার হয়ে যায় অদিতি। রাধিকা জানান, অদিতির সঙ্গে তাঁর বাস্তব জীবনের অনেক মিল। কোনো পরিকল্পনা না থাকার পরও তিনি অভিনেত্রী হয়ে উঠেছেন। 

‘পড়াশোনায় মোটামুটি ছিলাম। পরে নাচ নিয়ে আগ্রহী হই, এটিই ব্যক্তি হিসেবে আমাকে বদলে দেয়। বুঝতে পারি, অভিনয়ই আমার গন্তব্য। পেশাদার নৃত্যশিল্পী হতে চেয়েছিলাম, ভাগ্যক্রমে অভিনয়ে এসেছি,’ বলেন তিনি। এখন বলিউড নায়িকাদের মধ্যে যে তুমুল একটা প্রতিযোগিতা চলছে, সাক্ষাৎকারে সেটা অস্বীকার করেননি রাধিকা। তবে জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার একটিই উপায়—নিজের কাজ ঠিকভাবে করা। তিনি সেটাই করার চেষ্টা করছেন।