ব্রয়লার মুরগির দাম কমল

প্রকাশকালঃ ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০৩:৪১ অপরাহ্ণ ৫২৪ বার পঠিত
ব্রয়লার মুরগির দাম কমল

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম অনেকটাই কমে গেছে। যে মুরগির দর গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ২৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল, তা কমে নেমেছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। লেবু, শসা ও বেগুনের দামও কমতির দিকে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তালিকা বলছে, মাঝারি চাল, খোলা ময়দা, দেশি রসুন ও চিনির দামও কিছুটা কমেছে। কিছুটা বেড়েছে সয়াবিন ও পাম তেল ও আলুর দাম।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর পলাশী বাজারে বেলা দেড়টার দিকে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকার আশপাশে। আর সোনালি মুরগির দাম চাওয়া হচ্ছিল প্রতি কেজি ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা। নিউমার্কেট বনলতা কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২১০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। কারওয়ান বাজারে দর আরেকটু কম। প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রেতারা এই মুরগি বিক্রি করছিলেন।

পবিত্র রমজান মাসের কয়েক দিন যেতেই বাজারে লেবু, শসা ও বেগুনের দাম কমে গেছে।

পবিত্র শবেবরাত ও রমজান মাস কেন্দ্র করে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। এরপর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে এক সভায় ২৩ মার্চ দেশের মুরগি উৎপাদনকারী বড় চারটি প্রতিষ্ঠান ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায় খামার থেকে বিক্রি করার ঘোষণা দেয়। এরপর থেকেই দাম কমতে শুরু করে।

টিসিবি বলছে, বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম কমার কারণ পবিত্র রমজান মাসে খাবারের দোকানে চাহিদা কমে যাওয়া। পাশাপাশি সামাজিক অনুষ্ঠান কমে যাওয়ায় মুরগির চাহিদা কমেছে। তদারকিও বাজারে প্রভাব ফেলেছে।

নিউমার্কেট বনলতা কাঁচাবাজারের মুরগি বিক্রেতা নাহিদ হোসেন বলেন, পাইকারি বাজারে দাম কমেছে বলে তারা খুচরায় কম দামে বিক্রি করতে পারছেন। বাজারে দাম কম থাকলে তাদের বেচাকেনা ভালো হয়।

ডিমের দাম এখনো কমেনি। পলাশী ও নিউমার্কেট বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। হাঁসের ডিমের দামও অনেক বেশি, প্রতি ডজন ২০০ থেকে ২১০ টাকা।

রোজার প্রথম কয়েক দিন বাজারে লেবু, শসা ও লম্বা বেগুনের দাম বেশি ছিল। এখন কমেছে। পলাশী, নিউমার্কেট ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট লেবু প্রতি হালি ২০ টাকা ও একটু বড় আকারের লেবু ৪০ টাকা হালি দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। 

কারওয়ান বাজারে বেশি পরিমাণে কিনলে দাম আরেকটু কম পড়ে। রোজার শুরুর কয়েক দিন ছোট লেবু প্রতি হালি ৪০ টাকা এবং একটু বড় আকারের লেবু প্রতি হালি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়।

পলাশী ও নিউমার্কেট বাজারে প্রতি কেজি দেশি ও হাইব্রিড জাতের শসা বিক্রি করতে দেখা যায় ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি শসার দাম কমেছে ১০ টাকা। লম্বা বেগুনের দামও কমতির দিকে। ভালো মানের লম্বা বেগুন এখন প্রতি কেজি ৬০ টাকার আশপাশের দামে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

টিসিবি বলছে, গত এক সপ্তাহে খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। এখন প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের দাম পড়ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। খোলা পাম তেলের দাম লিটারে পাঁচ টাকা বেড়েছে।