স্ত্রী বাড়ি না ফেরায় অভিমানে স্বামীর আত্মহত্যা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৫৫ অপরাহ্ণ   |   ৯৩ বার পঠিত
স্ত্রী বাড়ি না ফেরায় অভিমানে স্বামীর আত্মহত্যা

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা:-

 

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে স্ত্রী বাড়ি না ফেরায় অভিমানে শাহ জালাল (২২) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ছয়সূতি ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে।
 

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। পরে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাতেই শাহ জালালের মরদেহ উদ্ধার করে ভৈরব থানা পুলিশ।
 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে কুলিয়ারচরের মধ্য লালপুর এলাকার মনির মিয়ার মেয়ে জান্নাত বেগমকে বিয়ে করেন শাহ জালাল। তাদের দেড় বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। শাহ জালাল ঢাকায় জুতার কাজ করতেন। বিয়ের পর থেকেই তিনি শ্বশুরবাড়ি ও ঢাকায় থাকতেন, যেখানে জান্নাত বেগমের বাবা-মা-ও বসবাস করতেন।
 

তাদের দাম্পত্য জীবনে সচ্ছলতা নিয়ে প্রায়ই কলহ হতো। ছেলেকে নিজ বাড়িতে ফেরানোর জন্য শাহ জালালের মা নতুন ঘর নির্মাণ করে দেন। কয়েকদিন আগে স্ত্রী জান্নাত অভিমান করে বাবার বাড়িতে চলে যান। স্ত্রীকে ফেরাতে শুক্রবার বিকেলে জান্নাতের কাছে গেলে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হতাশ হয়ে শাহ জালাল নিজ ঘরে ফিরে স্ত্রীর ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
 

পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
 

শাহ জালালের চাচাতো ভাই মামুন জানান, স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে শাহ জালাল দেখেন, তার স্ত্রী এক যুবকের সঙ্গে কথা বলছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এরপর বাসায় ফিরে শাহ জালাল আত্মহত্যা করেন।
 

নিহতের মা শাহানা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই তার ছেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলেন। তারা ছেলেকে মেয়েকে ছেড়ে দিতে চাপ দিত। শাহ জালাল তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসতেন, কিন্তু তার স্ত্রী পরিবারের কথায় চলতেন, ফলে প্রায়ই ঝগড়া হতো। তিনি আরও দাবি করেন, তার ছেলে আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয়েছেন।
 

এ বিষয়ে ভৈরব থানার এসআই শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, "খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"