সোমবার বেলা ১১টার পর আইনজীবীদের একটি দল নিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ফজলুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ আরও অনেকে। ট্রাইব্যুনালে দাঁড়িয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চান এবং বলেন, “আল্লাহর পরই আপনাদের প্রতি আমার সম্মান।”
ট্রাইব্যুনাল তার ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করে মন্তব্য করে, “আপনার মতো ব্যক্তির কাছে এমন বক্তব্য আমরা আশা করি না।” পরে আদালত অবমাননা অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
গত ২৬ নভেম্বর প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে। পরে ট্রাইব্যুনাল তাকে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ফজলুর রহমান ৩ ডিসেম্বর লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চান।
প্রসিকিউশন জানায়, ২৩ নভেম্বর চ্যানেল ২৪–এর একটি টকশোতে ফজলুর রহমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে মন্তব্য করেন, “আমি প্রথম দিন থেকেই বলছি, এই কোর্ট আমি মানি না।”
উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবেও তিনি একই বক্তব্য পুনরাবৃত্তি করেন এবং ইউটিউব ও বিভিন্ন টকশোতেও একই মত প্রকাশের কথা উল্লেখ করেন।
প্রসিকিউশন অভিযোগ করে, ওই অনুষ্ঠানে ট্রাইব্যুনালকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বেশ কিছু মানহানিকর ও অবমাননাকর মন্তব্য করেন।
সবশেষে আদালতে উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ ও নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার পর ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়।