পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যার ঘটনায় একাধিক ব্যাকআপ টিম কাজ করেছে বলে ধারণা পুলিশের। মামুনের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নিয়েছে দুইজনের পাশাপাশি আরেকজন। এদের মধ্যে একজন ‘ভাগ্নে’ রনি, যিনি আগে সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন। মামুনের পরিবার মনে করছে, ভালো হওয়ার আকাঙ্ক্ষা এবং বিশ্বাসের কারণে তাকে ইমন বাহিনীর হাতে হত্যা করা হয়েছে।
২০২৩ সালে ইমন গ্রুপের হামলায় মামুনের ওপর গুলি চালানো হয়েছিল, সেই সময় নিরীহ ভুবন চন্দ্র নিহত হন। দীর্ঘ সময় বিচার না পাওয়ায় তার পরিবার এখনো হতাশ।
সোমবার আদালতে হাজিরার সময় মামুনকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সিসি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া তিনজনের পরিচয়। মামুনের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, মাথায় ক্যাপ ও মুখে মাস্ক পড়া ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে গুলি করতে; তিনি ‘ভাগ্নে’ রনি। রনি এক সরকারি বাহিনী ছাড়ার পর আন্ডারওয়াল্ডে যোগ দিয়েছেন।
ফুটেজে দেখা আরেকজনকে সবাই ‘কুত্তা’ ফারুক নামে চেনে। তিনি উত্তরা এলাকায় থাকেন। গুলি ছোড়া দুইজনের ঠিক পেছনে ছিলেন তৃতীয় ব্যক্তি, যাকে আন্ডারওয়াল্ডে ‘স্যুটার’ কামাল নামে ডাকা হয়।
পুলিশ আরও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করছে। মামুন প্রতিদিন সঙ্গী থাকলেও সোমবার একাই আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। পরিবার দাবি করছে, এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইমন সরাসরি হত্যায় জড়িত।
পাঁচ আগস্টের পর ধানমন্ডিতে ইমন এককভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছেন। তার বাহিনীর হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া এক ব্যবসায়ীও পুলিশের কাছে মামলা করেছেন, ইমনকে প্রধান আসামি করে। সাধারণ মানুষ মনে করছেন, আন্ডারওয়াল্ডের অপরাধ কর্মকাণ্ড নিয়ে পুলিশের গাছাড়া ভাবের কারণে মামুন হত্যার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।