অনলাইন ডেস্ক:-
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌযান আটক করেছে মার্কিন কোস্টগার্ড। গত বুধবার ফ্লোরিডার একটি ফেডারেল আদালতে দায়ের করা ফৌজদারি অভিযোগে এই ঘটনার উল্লেখ করা হয়। নৌযানটিতে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ছিলেন।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, তারা মোট ৩১ জন অভিবাসীকে আটক করে বাহামাসে ফেরত পাঠিয়েছে। ফ্লোরিডার মিয়ামির পূর্ব দিকে মার্কিন জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করা নৌযান থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চারজন সন্দেহভাজন পাচারকারীকে তদন্তের জন্য হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনস (এইচএসআই) সংস্থার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হওয়ায় এক অভিবাসীকে স্থলভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে চীন, হাইতি এবং বাংলাদেশের নাগরিকরা রয়েছেন।
মার্কিন কোস্টগার্ডের সপ্তম জেলার জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার জন ডব্লিউ বেল বলেন, "অবৈধ সামুদ্রিক অভিবাসন অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। মানব পাচারকারীরা এই যাত্রায় অভিবাসীদের নিরাপত্তা বা জীবন নিয়ে কোনো চিন্তা করে না। আমাদের বার্তা স্পষ্ট—কেবল প্রত্যাবাসিত হওয়ার জন্য আপনার জীবন ও অর্থ পাচারকারীদের হাতে তুলে দেবেন না। সমুদ্রপথে অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি নেবেন না।"
মিয়ামি-ডেড ফায়ার রেসকিউ টিম এক নারীকে চিকিৎসার জন্য কোকোনাট গ্রোভের মার্সি হাসপাতালে নিয়ে যায়, যদিও অভিযোগপত্রে তার চিকিৎসাজনিত সমস্যার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি। মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নৌকাটি চালাচ্ছিলেন আর্লিন কার্লান কারগিল নামের এক ব্যক্তি।
জিজ্ঞাসাবাদে কারগিল জানান, বাহামাসে মানব পাচার চক্রের এক সংগঠক তাকে কি বিসকেইনে লোক পৌঁছে দিতে বলেছিল এবং এ কাজের জন্য তাকে ৭০০ ডলার দেওয়া হয়। কারগিল আরও বলেন, তিনি বিমিনির ডকে পৌঁছানোর আগেই লোকজন নৌকায় ছিল। পাচারকারীরা তাকে কিছু কাপড় ও একটি মোবাইল ফোন দেয়, যাতে একটি জিপিএস অ্যাপ ইনস্টল করা ছিল এবং গন্তব্য হিসেবে কি বিসকেইনের স্থানাঙ্ক সেট করা ছিল।
ফেডারেল ব্যুরো অব প্রিজনসের রেকর্ড অনুযায়ী, বর্তমানে কারগিল মিয়ামির ফেডারেল ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি রয়েছেন।