আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা হবে ৪৫ হাজার ৯৮টি। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ থাকবে ২ লাখ ৮০ হাজার ৫৬৪টি। ভোটগ্রহণ কার্যক্রম নির্বাহের জন্য প্রায় ৯ লাখ ৩১ হাজার ১৩১ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সভার কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সভায় বলা হয়, আগের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। তখন ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ১৪৮ এবং ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি। তবে ২০২৫ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে আগামী নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১২ কোটি ৭৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫২ জন, যেখানে জন্ম তারিখ ০১-০১-২০০৮ পর্যন্ত থাকা নাগরিকরাও অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
এবার প্রায় ২ হাজার ৯৫০টি অতিরিক্ত ভোটকেন্দ্র যুক্ত হওয়ার ফলে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে ৪৫ হাজার ৯৮টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হবে ২ লাখ ৮০ হাজার ৫৬৪টি।
সভায় জানানো হয়, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন হবে মোট ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন। পূর্ববর্তী নির্বাচনের তুলনায় প্যানেলে ১০ শতাংশ বেশি কর্মকর্তা রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ শতাংশ অতিরিক্ত কর্মকর্তা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত থাকবেন। ফলস্বরূপ, মোট ৯ লাখ ৩১ হাজার ১৩১ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।