খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স
প্রকাশকালঃ
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৫:৪৬ অপরাহ্ণ ২১৪ বার পঠিত
জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত কিন্তু হারলেই বাদ পড়ার শঙ্কা। এমন সমীকরণ নিয়েই খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তোলেন চট্টগ্রামের তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। স্বীকৃত টি-টয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। তানজিদ তামিমের সেই সেঞ্চুরিই শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামকে দেখাল প্লে-অফ পর্বে যাওয়ার পথ।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের খেলায় খুলনা টাইগার্সকে ৬৫ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চট্টগ্রাম তানজিদ তামিমের সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ১৯২ রান সংগ্রহ করে।জবাবে ১৯.৫ ওভারে মাত্র ১২৭ রানেই গুটিয়ে যায় খুলনা। এই জয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে চট্টগ্রামের। তানজিদ তামিম মাত্র ৬৫ বলে ৮টি করে চার ও ছয়ে ১১৬ রান করেন। এটিই এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। তানজিদ তামিমের ক্যারিয়ারেরও প্রথম সেঞ্চুরি এটি। এছাড়া টম ব্রুস ২৩ বলে ৩৬ রান করেন।
এই হারে খুলনার জন্য প্লে-অফে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা আরও ধূসর হয়ে গেল। রংপুর রাইডার্স সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করার পর এদিন চট্টগ্রামের জয়ে চট্টগ্রামের পাশাপাশি কুমিল্লারও প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে গেছে। শেষ স্থানটির জন্য লড়াইটা এখন ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্সের মধ্যে। তবে পয়েন্ট ও রানরেটে বেশ ভালোভাবে এগিয়ে থাকায় বরিশালের জন্যই রাস্তাটা সহজ।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৯৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৩ রানের মাথায় ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের (৬) উইকেট হারায় খুলনা। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বেশ ভালোই খেলছিলেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও শাই হোপ। কিন্তু দলীয় ৬৭ রানে অধিনায়ক বিজয় শহিদুলের শিকারে পরিণত হন। ২৪ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৫ রান করেন তিনি। এরপর দ্রুতই রান আউটে কাটা পড়ে বিদায় নেন এভিন লুইসও (৬)।
চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম এদিন বল হাতে ত্রাস ছড়ান। খুলনার স্কোরবোর্ডে যখন ৮২ রান তখন শাই হোপকে সাজঘরে ফেরান তিনি। ২১ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ৩১ রান করে ভয়ঙ্কর হওয়ার পথে ছিলেন হোপ। এরপর মাহমুদুল হাসান জয় ও আফিফ হোসেনকেও আউট করেন শুভাগত। শেষদিকে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। জেসন হোল্ডার একাই যা একটু রান করেন। কিন্তু ১৭ বলে ১৮ রান করে রোমারিওর শিকারে পরিণত হন তিনি।
চট্টগ্রামের পক্ষে শুভাগত হোম ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন বিলাল খান। এছাড়া সালাউদ্দিন শাকিল, শহিদুল ইসলাম, রোমারিও শেফার্ড ও নিহাদুজ্জামান ১টি করে উইকেট শিকার করেন।