কুড়িগ্রামে দারিদ্র্যমুক্ত সমবায় সমিতির নামে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৪ অক্টোবর ২০২৫ ০৬:২২ অপরাহ্ণ   |   ১১০ বার পঠিত
কুড়িগ্রামে দারিদ্র্যমুক্ত সমবায় সমিতির নামে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-


 

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ নতুন বাজার এলাকায় দারিদ্র্যমুক্ত বহুমুখী সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ ফেরতের দাবিতে সহস্রাধিক ভুক্তভোগী শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন।
 

বেলা ১১টার দিকে রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ নতুন বাজার এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের জুন মাসে প্রতিষ্ঠিত হয় “দারিদ্র্যমুক্ত বহুমুখী সমবায় সমিতি” নামের সংগঠনটি। একই বছর চিলমারী উপজেলা সমবায় অফিস থেকে এটি রেজিস্ট্রেশনও পায়। প্রথমে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের নামে প্রায় তিন হাজার সদস্য সংগ্রহ করে সমিতিটি। উচ্চ হারে লভ্যাংশের প্রলোভন দেখিয়ে তারা কয়েক বছরের মধ্যে প্রায় ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করে নেয়। পরে হঠাৎ করেই সমিতির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
 

অর্থ ফেরত চাইলে সমিতির দায়িত্বশীলরা দীর্ঘদিন ধরেই নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করে আসছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
 

ভুক্তভোগী ছকিনা বেগম (৬০) জানান, “ভিক্ষা করে আর মাটি কেটে জমানো সাড়ে ছয় লাখ টাকা ওই সমিতিতে রেখেছিলাম। এখন সেই টাকা ফেরত না পেয়ে আমি প্রায় পাগল হয়ে গেছি।”
 

আরেক সদস্য রিপন মিয়া জানান, তার দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা ফেরত মেলেনি। একইভাবে থানাহাট ইউনিয়নের জয়ন্ত রায় (১ লাখ ২২ হাজার), এরশাদুল হক (৮০ হাজার), সুফিয়া দেওয়া (১ লাখ ২৮ হাজার), জেলেখা বেওয়া (১ লাখ ৪৮ হাজার), কসভান বেওয়া (৬০ হাজার) ও মিম আক্তার (৩৬ হাজার ৫০০ টাকা) ক্ষতির শিকার হয়েছেন। তাদের দাবি, প্রায় তিন হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে এভাবে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সমিতির কর্তৃপক্ষ।
 

সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর আলম বলেন, “পরিচালক আনিসুর রহমান আনিস ও মিল্টনসহ ১৭ জন কর্মচারীর কাছে হিসাবের কাগজপত্র রয়েছে। ফলে আমরা সম্পূর্ণ হিসাব দিতে পারছি না। তবে গত সপ্তাহে সাড়ে ৩৩ শতাংশ জমি বিক্রির মাধ্যমে ৯৫ লাখ টাকা পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাকি গ্রাহকদের ফেরত দেওয়ার মতো অর্থ বর্তমানে সমিতিতে নেই।”
 

তবে সমিতির পরিচালক (ঋণ) আনিসুর রহমান আনিসের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।