নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে এক দফা দাবি ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ হাস্যকরঃ কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশকালঃ ১৫ জুলাই ২০২৩ ০১:৫৮ অপরাহ্ণ ২৮৮ বার পঠিত
নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে এক দফা দাবি ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ হাস্যকরঃ কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, "আমরা বাংলাদেশকে শান্ত ও স্থিতিশীল রাখতে চাই। একটি নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে এক দফা দাবি ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ হাস্যকর বিষয়। বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল যারা এসব বলছেন, এটিই তাদের দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। নির্বাচিত সরকার কোন দিনই কারো দাবিতে পদত্যাগ করে না।

২০১৪-১৫ সালে তাদের সন্ত্রাস আমরা দেখেছি। এ দেশের জনগণ ওই সন্ত্রাসের সাথে মোকাবেলা করেছে। তাদের এ পদত্যাগের দাবি কোন দিনই বাস্তবায়িত হবে না।" 


আজ শনিবার সকালে টাঙ্গাইলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রশাসনের উদ্যোগে পরিবেশ রক্ষায় একদিনে এক লাখ গাছের চারা রোপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, "তারা দাবি করবে কিভাবে নির্বাচনকে সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ করা যায়। নির্বাচন কমিশনকে আমরা সকলে মিলে সহযোগিতা করবো। যাতে সারা পৃথিবী এবং বাংলাদেশের মানুষের কাছে সুন্দর ও অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দৃষ্টান্ত দেখাতে পারি। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীরা খুব ভালো করে জানে যে এদেশে সব কিছুই আমাদের সংবিধান অনুযায়ী হবে।

সংবিধানের বাইরে কিছুই করার কোন সুযোগ নেই। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যাপারে তাদের দাবি খুবই জোরালো। প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন করার আশ্বাস দিয়েছেন তাদেরকে।" 


জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে বৃক্ষরোপণ উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আনসারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ, টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাসার ও টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানসহ অনেকে। 

এ সময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধান, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, এনজিও প্রতিনিধি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। পরে কৃষিমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপন করেন। পরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।