বিদেশি প্রভুদের সাড়া না পেয়ে দিশাহারা বিএনপি: সেতুমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশি প্রভুদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সাড়া না পেয়ে ও জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নেতারা দিশাহারা হয়ে পড়েছে। তারা একেক সময় একেক কথা বলে। 

কখনো বিদেশি প্রভুদের কৃপা প্রত্যাশায় তাদের তোষামোদ করে, আবার কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে। আজ সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের অন্তর চরম স্বেচ্ছাচারিতা ও মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ। স্বৈরচারী আদর্শ ও সন্ত্রাসের ধারক-বাহক এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি সব সময় গণতন্ত্রের পথকে ভয় পায়। বিএনপির রাজনীতি যেকোনো উপায়ে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা।

আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলামরা এখন পাগলের প্রলাপ বকছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব বিরোধী দল ও মত দমনের কথা বলছেন! একদিকে তারা লাগাতার মিছিল-মিটিং সমাবেশ করে সরকারের বিরুদ্ধে নির্লজ্জ মিথ্যাচার-অপপ্রচার চালাচ্ছে ও বিষোদগারে লিপ্ত রয়েছে।

অন্যদিকে বিরোধী মত দমনের মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করছে। তিনি বিএনপির শাসনামলের কথা স্মরণ করে বলেন, ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতা দখলের পর আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলটির জাতীয় নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২২ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। নিজেদের কৃতকর্মের জন্য বিএনপির মধ্যে কোনো অপরাধবোধ নেই।

তারা এখনো সেই হামলাকারীদের পক্ষে সাফাই গায়। এখন তারা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর হুমকি দেয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান ও তার উত্তরসূরি খালেদা জিয়ার শাসনামলে দেশে শুধু যুদ্ধাপরাধী ও পাকিস্তানপন্থীরা রাজনীতি করতে পেরেছে। তাদের সময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অবাধ বিচরণ ছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের সুমহান আদর্শ ও প্রগতিশীল চেতনা নির্বাসিত ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।