মানুষের উন্নয়ন হয় না শুধু ফ্লাইওভার আর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে: মঈন খান

প্রকাশকালঃ ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৫৫ অপরাহ্ণ ২৯৫ বার পঠিত
মানুষের উন্নয়ন হয় না শুধু ফ্লাইওভার আর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে: মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতায় দেশে অসহিষ্ণুতা ও বৈষম্য দেখা দিয়েছে। বিশ্বের যে দেশে এ ধরনের বৈষম্য বিরাজমান সেদেশে প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। ঢাকা শহরে শুধু ফ্লাইওভার আর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে দেশের মানুষের উন্নয়ন হয় না। যদি না আমরা মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তা দিতে না পারি।

গতকাল বুধবার এক ইফতার পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এই দোয়া ও ইফতার মাহফিল হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব কারাবন্দী রুহুল কবির রিজভীসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি দাবিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

মঈন খান বলেন, 'বাংলাদেশ আমরা স্বাধীন করেছিলাম পাকিস্তানের শোষণ ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য। কিন্তু এই সরকার আবারও দেশে অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে। তারা মানুষের মতামতের তোয়াক্কা করে না। যেমনটি তারা ৭২ সালে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। আজ বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করেছে। ইনশাআল্লাহ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা মুক্ত করতে পারব।'


তিনি আরো বলেন, 'আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব ইনশাআল্লাহ। হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে জনগণের কাছে ফেরত দেওয়া হবে। শিক্ষকেরা যে মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ সেটি ইউট্যাবের এই ইফতার আয়োজন প্রমাণ করে। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও এই বাংলাদেশে কেন আজো পথশিশু রয়েছে। এই সরকারের ব্যর্থতায় দেশে সমাজে ব্যবধান ও অসহিষ্ণুতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে এখন ধনী গরিবের ব্যবধান দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে। এটাকে রোধ করতে না পারলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা সমৃদ্ধি কোনোটাই টেকসই হবে না।'

'শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু এই সরকারের শিক্ষানীতি হলো দেশের মানুষকে অশিক্ষিত করে রাখা' উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, 'মানুষ যাতে তাদের অধিকারের কথা বলতে না পারে, তারা শিক্ষিত হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিচ্ছে। তবে আমরা শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করব। আমাদের চলমান আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলছে।'


দোয়া ও ইফতার মাহফিলে গরিব, অসহায় ও পথশিশুদের মধ্যে ৬০ জনকে ঈদের নতুন পোশাক উপহার হিসেবে প্রদান করেন অতিথিরা।

ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নূরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় ইফতারের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ইউট্যাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রমুখ।

ইউট্যাবের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রশিদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম সরকার, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবদুল করিম, অধ্যাপক ইসরাফিল প্রাং রতন, অধ্যাপক ড. দেবাশীষ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গোলাম হাফিজ কেনেডি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নসরুল কদির, রুয়েটের অধ্যাপক আকতার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. তোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাপক একেএম মতিনুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. আবু জাফর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ ন ম রইছ উদ্দিন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আনিসুর রহমান, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম শিমুল, শের মাহমুদ, অধ্যাপক ড. মফিদুল আলম, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মো. জাকির হোসেনসহ শতাধিক নেতাকর্মী।