২৭ মার্চ (বুধবার) হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ম্যাচটিতে যে দলই জয় লাভ করুক না কেন, এদিন আইপিলে ব্যাটিং-টক্করের দুর্দান্ত একটি ম্যাচ উপভোগ করেছেন দর্শকরা। এ ম্যাচটিতে কয়েকটি রেকর্ড হয়েছে। কেবল আইপিএল রেকর্ড নয়, বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রেকর্ডও হয়েছে এদিন। ম্যাচটিতে দুই দল মোট ৩৮ টি ছক্কা মারেন। হায়দরাবাদের ব্যাটাররা মারেন ১৮ টি ছয় মুম্বাইয়ের ব্যাটাররা মারেন ২০ টি ছয়।
এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহ, আইপিএলে দলীয়ভাবে সর্বোচ্চ রান, কয়েক ওভারের ব্যবধানে একজনের রেকর্ড অন্যজনের ভেঙে দেয়াসহ অনেক কিছুই ঘটেছে হায়দরাবাদ-মুম্বাইয়ের এই ম্যাচে।
এ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান সংগ্রহ করে হায়দরাবাদ। যা ছিল আইপিএলের ইতিহাসে কোনো দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড। এর আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ২৬৩/৫ দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংসয়ের রেকর্ড ছিল। যা ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে হয়েছিল। ম্যাচটিতে ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ক্রিস গেইল।
২৭৭ রান করেও সহজভাবে জয় পেল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তুলল ২৪৬ রান। হারল ৩১ রানে। হায়দরাবাদের মাঠে ৩৫ হাজার দর্শক দেখলেন একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে উঠল ৫২৩ রান। তবুও কারও শতরান নেই।
টস জিতে হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। আর তার পরেই তাণ্ডব শুরু করেছিলেন হায়দরাবাদের ব্যাটারেরা। শুরুটা করেছিলেন ট্রেভিস হেড। ২৪ বলে ৬২ রান করেন। ৯ টি চার এবং ৩ ছক্কা মারেন তিনি। অন্য ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল যদিও রান পাননি। তিনি ১১ রান করে আউট হয়ে যান। তিন নম্বরে নেমে অভিষেক শর্মা ২৩ বলে ৬৩ রান করেন। ৭ টি ছক্কা ও ৩ টি চার মারেন অভিষেক।
এডেন মার্করাম ২৮ বলে ৪২ রান করেন। মুম্বইয়ের কোনও বোলারই ছাপ ফেলতে পারেননি। তাঁদের দুর্দশা আরও বেড়ে যায় হেনরিখ ক্লাসেন মাঠে নামার পর। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটার ৩৪ বলে ৮০ রান করেন। তিনি ৭ টি ছক্কা ও ৪ টি চার মারেন।
হায়দরাবাদ ২৭৭ রান তোলার পর মনে করা হয়েছিল তারা হয়তো খুব সহজেই জিতবেন। কিন্তু তা হয়নি রোহিত শর্মা, ঈশান পোড়েল, তিলক বর্মা, টিম ডেভিডেরা বিধ্বংসী মেজাজে খেলায়। রোহিত ১২ বলে ২৬ রান করেন। ঈশান ১৩ বলে ৩৪ রান করেন। ৩৪ বলে ৬৪ রান করেন তিলক। ২২ বলে ৪২ রান করেন ডেভিড। কিন্তু মুম্বাই অধিনায়ক হার্দিক করেন ২০ বলে ২৪ রান। তাঁকেই মন্থর মনে হচ্ছিল বাকিদের তাণ্ডবে। শেষ পর্যন্ত যদিও দলকে জেতাতে পারেননি ডেভিডেরা। ৩১ রানে হারল মুম্বাই।