গাজীপুরে নবজাতককে জিম্মি করে দেড় লাখ টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে

প্রকাশকালঃ ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:০৩ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
গাজীপুরে নবজাতককে জিম্মি করে দেড় লাখ টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে

ঢাকা প্রেস,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:-

 

গাজীপুরে নাছিমা বেগম (৪২) নামে এক বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে নবজাতককে একদিন ধরে জিম্মি করে দেড় লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নবজাতকের মা রুমা আক্তার (২২) জয়দেবপুর থানায় এ অভিযোগ দাখিল করেন। পুলিশ রাতে পিরুজালি গ্রামের একটি বাড়ি থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
 

জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুল হাসান শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
 

এ ঘটনা ঘটেছে গত শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর পূর্বপাড়া গ্রামের নাছিমা বেগমের বাড়িতে। নাছিমা স্থানীয় মৃত মিনহাজের স্ত্রী।
 

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, নাছিমা নবজাতককে পাশের পিরুজালি গ্রামের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে দত্তক দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। রুমা আক্তার শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার সালদা গ্রামের বাসিন্দা, তিনি তার স্বামী নূর ইসলামের সঙ্গে নাছিমার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। নূর ইসলাম পেশায় একজন ইটভাটা শ্রমিক।
 

রুমা আক্তার জানান, ১৪ ডিসেম্বর ভোরে প্রসব বেদনা শুরু হলে তার স্বামী ও স্বজনরা নাছিমা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে তাকে অটোরিকশায় হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে অটোরিকশাতেই রুমা ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। নাছিমা নবজাতকের নাড়ি কাটার জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং বাসায় ফিরে এসে নবজাতক ফেরত দিতে দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নাছিমা নবজাতককে ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তী চারদিন পর্যন্ত নবজাতক ফেরত না পেয়ে রুমা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
 

স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে পুলিশ পিরুজালি গ্রামের নিঃসন্তান দম্পতির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নবজাতককে উদ্ধার করলেও কাউকে আটক করেনি। অভিযোগের পর থেকেই নাছিমা বেগম গা ঢাকা দিয়েছেন। এছাড়া স্থানীয়রা নাছিমার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগও করেছেন।
 

মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহ্ আলম এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, "পুলিশ নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে, তবে ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।"
 

জয়দেবপুর থানার এসআই মাহফুজুল হাসান জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, টাকার অভাবে রুমা আক্তার নবজাতককে দত্তক দেওয়ার কথা বলেছিলেন, তবে ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে।