ঢাকা প্রেস নিউজ
সোমবার (১১ নভেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলও (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করা হয়।
২০০৮ সালের জুলাই মাসে ঢাকার রমনা থানায় দুর্নীতি দমন কমিশন খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে। এতে অরফানেজ ট্রাস্টের নামে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৯ সালে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হলেও মামলার আনুষ্ঠানিক শুনানি শুরু হয় ২০১৪ সালের মার্চে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল করলে, হাইকোর্ট সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে।
২০১৯ সালে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর খালেদা জিয়া আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল করেন। দীর্ঘদিন পর গতকাল (১০ নভেম্বর) এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান জানান, ট্রাস্টের টাকা খালেদা জিয়া আত্মসাৎ করেননি; বরং টাকা ট্রাস্টের ফান্ডেই রয়েছে। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ সোমবার (১১ নভেম্বর) আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর রাষ্ট্রপতি দুই মামলায় (অরফানেজ ট্রাস্ট এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট) খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেন।
তবে দণ্ড মওকুফের পরেও আপিল শুনানি কেন হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতির মওকুফের আদেশে ক্ষমার কথা উল্লেখ রয়েছে, তবে খালেদা জিয়া ক্ষমার উপর নির্ভর করতে চান না। তিনি নিজেকে নির্দোষ মনে করেন এবং আদালতের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ায় মামলা নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।