টুপি নিয়ে বিরোধ, ঘুমন্ত অবস্থায় মাদরাসা ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:৪৪ অপরাহ্ণ   |   ৩৬ বার পঠিত
টুপি নিয়ে বিরোধ, ঘুমন্ত অবস্থায় মাদরাসা ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এক মাদরাসা ছাত্রকে ঘুমন্ত অবস্থায় নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করেছে তারই সহপাঠী। টুপি নিয়ে পূর্বের তুচ্ছ বিরোধের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
 

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।
 

ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসার আবাসিক ভবনে।
 

নিহত ছাত্রের নাম মো. নাজিম উদ্দিন (১৩)। তিনি উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্ল্যার ছেলে। আটক ছাত্র আবু ছায়েদ (১৬) ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।
 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুজনই মাদরাসার আবাসিক ছাত্র এবং পবিত্র কোরআনের হাফেজ। নাজিম ২২ পারা ও ছায়েদ ২৩ পারা হেফজ সম্পন্ন করেছে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে টুপি পরা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষকরা বিষয়টি মিটিয়ে দিলেও ছায়েদের মনে ক্ষোভ থেকে যায়।
 

এরপর পরিকল্পিতভাবে ছায়েদ সোনাইমুড়ী বাজার থেকে ৩০০ টাকায় একটি ধারালো ছুরি ক্রয় করে। রোববার রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রাত আড়াইটার দিকে ঘুমন্ত নাজিমের গলা কেটে হত্যা করে সে। নাজিমের গোঙরানির শব্দ শুনে একই কক্ষে থাকা অন্যান্য ছাত্র ও শিক্ষক জেগে উঠে ঘটনাটি দেখতে পান।
 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছায়েদকে আটক করে এবং হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করে।
 

ওসি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, “টুপি পরা নিয়ে দুই ছাত্রের মধ্যে বিরোধের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। নিহতের মরদেহ সুরতহাল শেষে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।”