ঢাকা প্রেস
স্টাফ রিপোর্টার (কুমিল্লা):-
কুমিল্লায় সাম্প্রতিক বন্যায় মৎস্য খাতে ৪০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। মৎস্য উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা হিসেবে কুমিল্লায় এই ক্ষতি মৎস্য চাষিদের জন্য এক ভয়াবহ আঘাত।
প্রাথমিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৮৩৬ একর জমির উপর স্থাপিত মাছের ঘেরসহ আড়াই হাজারেরও বেশি পুকুর ও দিঘি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে লক্ষাধিক মাছ ভেসে গেছে, যার মধ্যে ১০ টন চিংড়ি ও অন্তত ১০ কোটি টাকার পোনা মাছ রয়েছে। দুটি সরকারি মাছের পোনা উৎপাদন কেন্দ্রও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কুমিল্লা জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলাল আহমেদ জানিয়েছেন, বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। গোমতী, ঘুংঘুর ও সালদা নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জেলার বেশিরভাগ অংশ প্লাবিত হয়েছে। ফলে কৃষিজমি, মাছের ঘের, রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মৎস্য চাষিরা এখন বিপাকে। তাদের জীবিকার মূল উপার্জনের মাধ্যম হারিয়ে গিয়ে তারা কীভাবে আবার ঘুরে দাঁড়াবে, তা নিয়ে চিন্তিত। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি সহায়তা ও প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
মৎস্য খাতের এই ক্ষতি কুমিল্লার অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলবে। কারণ, মৎস্য খাত এই জেলার অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এই ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কতটা ভয়াবহ হতে পারে। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
আশা করা যায়, সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থা মিলে কুমিল্লার মৎস্য চাষিদের এই কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়াবে।