বড়াইগ্রামে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৮জন নিহত: অসুস্থ পুত্রবধু দেখতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন শশুর

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২২ জুলাই ২০২৫ ০৭:৪৯ অপরাহ্ণ   |   ১০৮ বার পঠিত
বড়াইগ্রামে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৮জন নিহত: অসুস্থ পুত্রবধু দেখতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন শশুর

মো. সুরুজ আলী,নাটোর প্রতিনিধি:-


 

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৮ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকাল ১০টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের শ্রীরামপুর সাব্বির ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন তরমুজ পাম্প এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 
 

নিহতদের পরিবার ও বনপাড়া হাইওয়ে থানা সুত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম (৬৪). তার স্ত্রী শেলী বেগম (৫৬), বোন ইতি (৪০) ও আন্না (৬০), আঞ্জুমান আরা (৭৫), আনু বেগম (৫০) এবং রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সীমা খাতুন (৪৭) ও মাইক্রোবাস চালক সাহাবুদ্দিন (৪৫)। নিহতরা সকলেই একে অপরের নিকটতম আত্মীয় ও কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানাধীন ধর্মদহ এলাকার বাসিন্দা। 
 

এ বিষয়ে আরো জানা যায়, কুষ্টিয়া দৌলতপুর থেকে নিহত জাহিদুল ইসলাম তার সিরাজগঞ্জে অবস্থানরত অসুস্থ পুত্রবধু নিশিকে (৪৫) দেখতে নিকটতম আত্মীয়স্বজন নিয়ে একটি মাইক্রোবাস যোগে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। অপরদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক বনপাড়া দিকে আসছিল। এসময় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের উপজেলার তরমুজ পাম্প এলাকায় পৌঁছালে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে মাইক্রোবাসে থাকা ৬ জন যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হন। বনপাড়া ফায়ার সার্ভিস ও বনপাড়া হাইওয়ে থানার পুলিশ নিহত ও আহতদের উদ্ধার করেন। পরে গুরুতর আহতবস্থায় দুইজনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তবে উক্ত দুইজনও মৃত্যুবরণ করেন।  মাইক্রোবাসে থাকা চালক সহ মোট ৮জনই নিহত হন।
 

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাটোরের জেলা পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন, জেলার আতিরিক্ত পুলিম সুপার মো. একরামুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শোভন চন্দ্র  সহ বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম সারোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
 

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাঈল হোসেন জানান, দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্বীয়স্বজনের কোনো অভিযোগ না থাকায় ও আবেদনের প্রেক্ষিতে  ময়না তদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। কিন্তু ট্রাক চালক পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। অপরদিকে বিধ্বস্থ মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করে বনপাড়া হাইওয়ে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।