প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ২ বন্ধু

প্রকাশকালঃ ১১ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৬ অপরাহ্ণ ৪১১ বার পঠিত
প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ২ বন্ধু

ঢাকা প্রেস,রাজবাড়ী প্রতিনিধি:-

 

রাজবাড়ীর কালুখালীতে ধানখেতে নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হওয়ার দুই সপ্তাহ পর তার পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে একজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়ে জানান, তিনি প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই নারীকে ধর্ষণ ও হত্যা করেছেন।
 

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজবাড়ী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শরীফ আল রাজীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন—পাংশা উপজেলার গোপালবাড়ি বনগ্রামের মৃত হাসেম মিয়ার ছেলে আমিন মিয়া (৩৬) এবং মাদুলিয়া গ্রামের মৃত জব্বার মণ্ডলের ছেলে মোনছের মণ্ডল (৩৮)।
 

জানা গেছে, শনিবার রাতে প্রথমে মাদুলিয়ার নিজ বাড়ি থেকে মোনছের মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোপালবাড়ি বনগ্রাম থেকে আমিন মিয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করা হলে আমিন মিয়া ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। ওই রাতেই পুলিশ সুপার শামিমা পারভীনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
 

কালুখালি থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর মোহনপুর গ্রামের ধানখেত থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে কালুখালী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে কালুখালী থানা ও গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পৃথক দল তদন্ত শুরু করে। ৮ নভেম্বর ওই ধানখেত থেকে একটি ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ব্যাগে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র দেখে তার নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়। নিহত ওই নারীর বয়স ৩০ বছর এবং তার বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে। পরে তার বাবা বাদী হয়ে কালুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
 

জবানবন্দির তথ্য অনুযায়ী, নিহত নারীর দুই বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তিনি এক সন্তানসহ বাবার বাড়িতে থাকতেন। কয়েক মাস আগে আমিন মিয়ার সঙ্গে তার ফোনে পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে আমিনের বন্ধু মোনছের মণ্ডলের সঙ্গেও ওই নারীর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। ১৮ অক্টোবর তারা কৌশলে ওই নারীকে পাংশায় ডেকে আনেন এবং তিনি মোনছেরের বাড়িতে ওঠেন। ২০ অক্টোবর বাড়ির পেছনের বাগানে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডে তিনজন অংশ নেন। পরে তারা মরদেহ কাপড়ে মুড়িয়ে ভ্যানে করে নির্জন ধানখেতে ফেলে আসেন।
 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব জানান, রোববার সন্ধ্যায় আমিন মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে মোনছের মণ্ডল দোষ স্বীকার না করায় তার রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।