ইসরাইলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:১১ অপরাহ্ণ   |   ৮৪ বার পঠিত
ইসরাইলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত

অনলাইন ডেস্ক:-

 

লেবানন-সিরিয়া সীমান্তে হিজবুল্লাহর অস্ত্র পাচারের রুট লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এ হামলায় হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
 

আজ শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুত থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
 

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেবানন-সিরিয়া সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং পয়েন্টগুলোতে তাদের বিমান বাহিনী হামলা চালিয়েছে। ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা দীর্ঘদিন ধরে এই রুট ব্যবহার করে অস্ত্র পাচার করে আসছে।
 

সিরিয়ার যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা জানায়, এই হামলা ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। দুই মাসের সর্বাত্মক যুদ্ধসহ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান সংঘাতের পর, গত ২৭ নভেম্বর থেকে ইসরাইল-হিজবুল্লাহর মধ্যে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। তবে উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আসছে।
 

সিরিয়ার অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, রাতভর চলা এই হামলায় লেবাননের সীমান্তবর্তী শহর ওয়াদি খালেদের কাছে একটি ‘অবৈধ ক্রসিং’ বন্ধ হয়ে গেছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ব্রিটেন-ভিত্তিক এই সংস্থা আরও জানায়, সিরিয়া থেকে লেবাননের দিকে পাচারকারীদের যানবাহনের একটি বহর পর্যবেক্ষণ করার পর ইসরাইল এই হামলা চালায়। এতে সিরিয়ার অভ্যন্তরে থাকা একাধিক নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 

অবজারভেটরির প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেন, হামলায় বেশ কয়েকটি ভবন ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
 

এদিকে, লেবাননের সরকারি জাতীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সিরিয়ার সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকার গ্রাম এবং হারমেল শহরের আকাশে কম উচ্চতায় শত্রু বিমান উড়তে দেখা গেছে।
 

ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, লেবাননের সেনাবাহিনীকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে দক্ষিণ লেবাননে মোতায়েন করার কথা ছিল। তবে ইসরাইলি বাহিনী সেনা সরাতে ৬০ দিনের সময় চেয়ে নিলেও পরে এ সময়সীমা ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।