প্রকাশকালঃ
২৫ মার্চ ২০২৪ ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ ২০১ বার পঠিত
মহান আল্লাহ্ তাঁর সকল বান্দার প্রতি দয়াশীল, তবে রমজান মাসে এই দয়া আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। এই পবিত্র মাসে আল্লাহ্ প্রতিটি আমলের প্রতিদান বহুগুণ বৃদ্ধি করেন, বান্দাদের দোয়া কবুল করেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। বিশেষ করে রমজানের ইফতারের সময় দোয়া কবুলের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
এই সময়ে আল্লাহ্র করুণার ধারা বান্দাদের উপর বর্ষিত হয়। অথচ অনেকেই না জেনে এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় কাটিয়ে দেয়।
ইফতারের আগমুহূর্তের দোয়া
ইবাদত ও দোয়া কবুলের দিক থেকে সূর্যাস্ত তথা ইফতারের পূর্ব মুহূর্ত অত্যন্ত মূল্যবান। পূর্ববর্তী আলেমরা ইফতারের আগের সময়টুকু দোয়া ও আল্লাহ্র জিকিরে মগ্ন থাকতেন।
কারণ মহানবী (সাঃ) বলেছেন, "তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না: ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যখন সে ইফতার করে এবং অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া।" (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৭৫২)
তাই ইফতারের সময়ে নানা কাজে ব্যস্ত না হয়ে দোয়ায় নিমগ্ন হওয়া জরুরি।
শেষ রাতের দোয়া
আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের জন্য শেষ রাতের ইবাদত-বন্দেগি, দোয়া ও প্রার্থনার কোনো বিকল্প নেই। নবী (সাঃ) বলেছেন, "রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে আমাদের প্রতিপালক পৃথিবীর আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব, কে আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করব, কে আমার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করব।" (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১১৪৫)
তাই রোজাদারের উচিত সাহরির আগে বা পরে তাহাজ্জুদ আদায়ে সচেষ্ট হওয়া এবং এ সময় আল্লাহ্র দরবারে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করা।
মহান আল্লাহ্ আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে তাঁর স্মরণে সজীব করুন। আমিন।